1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে ‘বিডিআর বিদ্রোহ ঘটে গোয়েন্দা ব্যর্থতায়’

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ঢাকার বনানী কবরস্থানে বৃহস্পতিবার সকালে এক বছর আগে বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের শোকার্ত আত্মীয়-স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ ওই বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন নিহত হয়েছিলেন৷

https://p.dw.com/p/MBC6
বনানী কবরস্থানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাছবি: DW

বিডিআর বিদ্রোহে নিহত হয়েছিলেন তখনকার মহাপরিচালক শাকিল আহমেদ৷ নিহতদের অধিকাংশকেই দাফন করা হয়েছে বনানী কবরস্থানে৷ তাদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং তিন বাহিনী প্রধান৷ নিহতদের আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়৷ নিহত মেজর মমিনুল ইসলামের স্ত্রী সোনিয়া জানান, এক অনিশ্চিত জীবন যাপন করছেন তারা৷ একই ধরণের কথা জানান কর্নেল মুজিবের স্ত্রী৷

One year after BDR mutiny
নিহত সেনা কর্মকর্তাদের শোকার্ত আত্মীয়-স্বজনছবি: DW

অন্যদিকে বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মইনুল ইসলাম চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, গোয়েন্দা ব্যর্থতার কারণেই পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে নির্মম হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছিল৷ তাই ভবিষ্যতে এধরণের ঘটনা বন্ধে বিডিআরের নিজস্ব গোয়েন্দা বিভাগকে ঢেলে সাজান হচ্ছে৷

পিলখানার ঘটনায় মোট দু‘ধরণের মামলা হয়েছে৷ বিদ্রোহের অপরাধ এবং হত্যাকান্ডের অপরাধ৷ বিদ্রোহের বিচার ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে৷ তবে হত্যাকান্ডের বিচার এখনো শুরু হয়নি৷ হত্যা মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল ডয়চে ভেলেকে জানান, শিগগিরই চার্জশিট দিয়ে হত্যা মামলার বিচার শুরু হবে৷ আর তা হবে দ্রুত বিচার আইনে৷

One year adter BDR mutiny
নিহত সেনা কর্মকর্তাদের শোকার্ত আত্মীয়-স্বজনছবি: DW

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছিল৷ তখন বর্তমান সরকারের বয়স ছিল মাত্র দু‘মাস৷ ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের পরও সরকার তখন সাফল্যের সঙ্গে বিদ্রোহ সামাল দিয়েছিল৷

প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক