1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে শীঘ্রই চালু হচ্ছে থ্রিজি নেটওয়ার্ক

১৬ নভেম্বর ২০১০

নব্বইয়ের দশকেই বাংলাদেশে শুরু হয় মুঠোফোনের চল৷ প্রথমে তা ছিল বড়লোকের ফোন, তারপরে শহুরেদের৷ শেষমেষ সেই ফোন গিয়ে ঠেকলো প্রত্যন্ত গ্রামে৷

https://p.dw.com/p/QA94
দ্রুতগতির থ্রিজি সংযোগ বাংলাদেশে অনেক সুযোগ খুলে দেবেছবি: AP

অবস্থা এমন যে, বর্তমানে বাংলাদেশে সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের কাছে রয়েছে মুঠোফোন৷

এই মুঠোফোনের পেছনের প্রযুক্তিতে পরিবর্তনের হাওয়া লাগে প্রায়ই৷ শুরুতে ছিল প্রথম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক, সেখান থেকে এখন চলছে তৃতীয় প্রজন্মের নেটওয়ার্ক৷ জিএসএম আর সিডিএমএ প্রযুক্তির সংমিশ্রণ ঘটেছে থ্রিজি নেটওয়ার্কে৷ কিন্তু ব্যবহারকারীদের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকলেও এই নেটওয়ার্ক এখনো পায়নি বাংলাদেশ৷ অথচ গত কয়েক বছর ধরেই থ্রিজি নেটওয়ার্ক চাচ্ছিল বাংলাদেশের মুঠোফোন সেবাদাতারা৷ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আর কারিগরি বিপত্তি আটকে রাখে এই দাবিকে৷

Frauen in Dhaka, Bangladesch, mit Handy
মোবাইল ফোন গ্রামে-গঞ্জেও বিপ্লব এনে দিয়েছেছবি: AP

পরিবর্তনের হাওয়া

পরিবর্তনের হাওয়া বোধহয় বইতে শুরু করেছে৷ তাই নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজু জানালেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশে চালু হবে থ্রিজি নেটওয়ার্ক৷ এই নেটওয়ার্ক স্থাপনে সহায়তা করবে চীন৷ শুধু তাই নয়, মন্ত্রীর আশ্বাস, পাশের দেশ ভারতের চেয়েও সস্তায় মিলবে থ্রিজি সেবা৷

থ্রিজি নেটওয়ার্ক কী?

জানতে চাইছেন থ্রিজি নেটওয়ার্ক কি? কিংবা কি কাজে লাগবে এটি? চলুন উত্তরটা জেনে নেই তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবের এর কাছ থেকে, থ্রিজি মোবাইল ফোনে আমরা চাইলে একজন আরেকজনকে দেখতে পাবো৷ মোবাইল ইন্টারনেটের গতিও অনেক বাড়াবে এই নেটওয়ার্ক৷

১৫ শতাংশই থ্রিজি সমর্থক

থ্রিজি নেটওয়ার্কের প্রকৃত সুবিধা অনেকটাই নির্ভর করে মুঠোফোন সেটের উপর৷ একটু ভালোমানের মুঠোফোন বিশেষ করে স্মার্টফোন থ্রিজি নেটওয়ার্কের জন্য বেশ সহায়ক৷ এই দিক থেকে অবশ্য বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ৷ এরিকসন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অরুণ বানসাল গত মে মাসেই জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ষাট লাখ৷ আর এদেশে ব্যবহৃত মুঠোফোনগুলোর ১৫ শতাংশই থ্রিজি সমর্থক৷

Call centre business in Bangladesh - Youth in Bangladesh
সাধারণ ফোনের পর এবার মুঠোফোনের পালাছবি: DW

শুরু করছে টেলিটক

বাংলাদেশে থ্রিজি নেটওয়ার্কের শুরুটা করবে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটক৷ ২০০৫ সালে শুরু হওয়া এই সংস্থা এখন পর্যন্ত কোন বড় সাফল্য দেখাতে পারেনি৷ তবে, থ্রিজি নেটওয়ার্ক চালু হলে টেলিটকের ভাগ্যে পরিবর্তন আসতে পারে৷ বিশেষ করে, এই নেটওয়ার্কের নানা সুবিধা টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে সহায়ক হবে বলেই মত এখাতের বোদ্ধাদের৷ সুমন আহমেদের কথায়, থ্রিজি সেবা চালু হলে আমাদের দেশের ব্যবহারকারীরা কথা বলার ক্ষেত্রে, টেলিফোনের ক্ষেত্রে এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক নতুন জগতে প্রবেশ করবে৷

বেসরকারি সেবাদাতারাও পাবে থ্রিজি

টেলিটকের পর বেসরকারি অন্যান্য টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা সংস্থাও চাহিদা অনুযায়ী পাবে থ্রিজি নেটওয়ার্ক৷ এজন্য প্রয়োজনীয় নিয়মকানুন তৈরি করছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি৷

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মোবাইল সেবাদাতা সংস্থাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে বেসরকারি সেবাদাতারাই৷ বর্তমানের সাড়ে পাঁচ কোটি ব্যবহারকারীর ২ কোটি চল্লিশ লাখই গ্রামীণ ফোনের দখলে৷ এছাড়া বাংলালিংক এর গ্রাহক সংখ্যা এক কোটি বেয়াল্লিশ লাখ৷ এই বিশাল জনগোষ্ঠী'র জন্য থ্রিজি নিয়ে আসবে এক নতুন অভিজ্ঞতা, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক