1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে শ্রমিকদের অবস্থা কঠিন: জার্মান সংবাদপত্র

৪ জুলাই ২০১০

বাংলাদেশে তৈরি পোষাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ, ভারত-পাকিস্তান সংলাপ এবং ভারতে জাতপাতের নামে হত্যাকাণ্ড – জার্মান ভাষাভাষী পত্রপত্রিকায় দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কিত কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/OAGG
বেতন বাড়ানোর দাবিতে মিরপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ (ফাইল ছবি)ছবি: AP

বাংলাদেশে তৈরি পোষাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়টি তুলে ধরেছে ‘ডি টাগেসসাইটুং' সংবাদপত্র৷ সরকার জুলাই মাসের মধ্যেই তাদের মজুরি দ্বিগুণ করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, শ্রমিকরা তা মোটেই বিশ্বাস করতে পারছে না৷ তারা এতকাল তাদের প্রাপ্য মজুরি পায় নি৷ ফলে তারা অবিলম্বে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে রাজপথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে৷ পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষও ঘটেছে৷ ঐ সংবাদপত্র মন্তব্য করেছে, বিশ্বের যেসব দেশে শ্রমিকদের মজুরি সবচেয়ে কম, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম৷ প্রায় ৪,০০০ তৈরি পোষাক কারখানায় প্রায় ২৫ লক্ষ শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন৷

মুম্বই সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংলাপ প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো৷ এবার মন্ত্রী পর্যায়ে আবার আলোচনার সূচনা সম্পর্কে মন্তব্য করেছে ‘নয়েস ডয়েচলান্ড' সংবাদপত্র৷ ইসলামাবাদে ভারত ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের সূচনাটা মোটেই শুভ হয় নি, কারণ ভারেতর পতাকা ভুল করে উল্টোভাবে টাঙানো হয়েছিল৷ তবে দুই মন্ত্রীই যথেষ্ট আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গেছেন৷ প্রত্যাশা অনুযায়ী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম পাকিস্তানের উপর সন্ত্রাসবাদ দমন – বিশেষ করে মুম্বই হামলার কুশিলবদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবার চাপ দিয়েছেন৷ পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক ভারতের দুশ্চিন্তার বিষয়ে সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন৷ ক্যানাডায় জি টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিং'ও পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে সাফল্য সম্পর্কে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন – উল্লেখ করেছে ‘নয়েস ডয়েচলান্ড'৷

ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লিতে তরুণ প্রেমিক-যুগলের এক নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে মন্তব্য করেছে ‘নয়ে স্যুরশার সাইটুং'৷ তারা এক জাতের না হওয়ায় দুই পরিবারই ক্ষুণ্ণ ছিলো৷ সেই ‘অপরাধে' তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়৷ একবিংশ শতাব্দীতে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে গৌরব বোধ করে৷ সেই দেশে এমন ‘অনার কিলিং'এর ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয় – সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সমাজের রীতি-রেওয়াজের মধ্যে রোপীত রয়েছে জাতপাত-ভিত্তিক অসহিষ্ণুতার এক বীজ৷ বিশেষ করে গ্রাম-পঞ্চায়েত স্তরে প্রশাসনিক কাঠামো এক ধরণের সমান্তরাল সরকার হিসেবে বর্ণবাদ বাঁচিয়ে রেখেছে৷ অন্যদিকে সমাজের একটা বড় অংশ এখনো নীরবে জাতপাতের নামে হত্যাকাণ্ড একপ্রকার মেনে নিচ্ছে – লিখেছে ‘নয়ে স্যুরশার সাইটুং'৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক