1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘সিডন্স যুগের’ অবসান হচ্ছে

১৩ এপ্রিল ২০১১

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রশিক্ষক পর্যায়ে বড় ধরণের পরিবর্তন আসছে৷ দলের প্রধান কোচ জেমি সিডন্সকে ‘আল বিদা’ বলে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড৷ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজের পরপরই ইতি টানা হবে সিডন্স যুগের৷

https://p.dw.com/p/10s9p
ভারতের বিপক্ষে একটি ম্যাচে বাংলাদেশ (ফাইল ফটো)ছবি: AP

বিসিবির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা বসেছিল গতকাল মঙ্গলবার৷ সেখানেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে জাতীয় দলের প্রধান কোচের চুক্তির মেয়াদ নতুন করে বাড়ানো হবে না৷ জেমি সিডন্সের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে ৩০ জুন৷ ২০০৭ সালে ৩০ নভেম্বর জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে বিসিবির সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন এই অস্ট্রেলীয় কোচ৷ পারফরমেন্স ভালো হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত৷ কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর সিডন্সের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিলো নিউজিল্যান্ড সফর৷ প্রথম অভিযানে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তাঁর দল৷ কিন্তু পরে আস্তে আস্তে তিনি দলকে গোছাতে শুরু করেন৷ পরবর্তীতে বেশ কিছু ভালো ফলাফল এসেছে তাঁর সময়কালেই৷

বিসিবি মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, "জাতীয় দলের সঙ্গে সিডন্সের চার বছরের অবদানকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি৷ আমরা মনে করি জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্টে পরিবর্তন আনার এখনই উপযুক্ত সময়৷ প্রধান কোচের জন্য শিগগিরই বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে৷"

এদিকে, বোলিং কোচ ইয়ান পন্ট এবং ফিল্ডিং কোচ জুলিয়ান ফাউন্টেন এর সঙ্গে বিসিবির চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ এপ্রিল৷ ওই দুই পদের জন্যও নতুন লোক খোঁজা হবে৷ আর এ জন্য আলাদা বিজ্ঞাপনও দেওয়া হবে বলে ঐ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিসিবি৷

তবে ট্রেনার গ্র্যান্ট ট্র্যাফোর্ড লুডেনের চুক্তির মেয়াদ ২০১২ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই পরিচালনা পর্ষদ৷ অন্যদিকে, আরেক ট্রেনার মাইকেল হেনরির চুক্তি নবায়ন করা হবে না বলে বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷

কোচ পর্যায়ে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্ট এবং সাপোর্ট স্টাফে পরিবর্তনের সময় এসেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিসিবির কার্যনির্বাহী কমিটির ২৮তম সভায়৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী