‘বাংলার বাঘ তো মাঠে খেলতাছে, বিলুপ্ত হয় কেমনে?' | পাঠক ভাবনা | DW | 29.07.2015
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘বাংলার বাঘ তো মাঠে খেলতাছে, বিলুপ্ত হয় কেমনে?'

বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের অহংকার সুন্দরবনের বাঘ৷ এ সম্পর্কে লেখা প্রতিবেদনগুলো পড়ে ডয়চে ভেলের পাঠকদের দুঃখ, রাগ, হতাশা, পরামর্শ সমৃদ্ধ নানা মন্তব্য উঠে এসেছে আমাদের ফেসবুক পাতায়৷

বাঘ বিলুপ্ত হওয়ার খবরে শঙ্কিত সুলতানা শিমুর মন্তব্য, ‘‘বাঘ দেশের সম্পদ, তাই তাদের রক্ষা করা অবশ্যই দরকার৷''

ডিডাব্লিউ-র ফেসবুক-বন্ধু আশিক হাসান বলছেন, ‘‘যে দেশে মানবাধিকার নেই, সে দেশের বাঘ বিলুপ্ত নিয়ে ভাবা হচ্ছে৷ বাংলাদেশে আজ যদি কেউ মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে, আগামীকালই তাকে অজ্ঞাত পুলিশ বা ব়্যাব দ্বারা গ্রেপ্তার করা হবে এবং কয়েকদিন পরে হয়ত কোথাও তার লাশ পাওয়া যাবে৷'' এর অর্থ, আশিক বলতে চাইছেন, যে দেশে মানুষেরই কোনো মূল্য নেই, সে দেশে জীবজন্তুরই বা কী মূল্য থাকবে!

বাঘ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ভেবে চিন্তিত পুরনো বন্ধু অসিত কুমার দাস মিন্টুও৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘বাঘ আমাদের জাতীয় সমম্পদ৷ বাঘ মানে বাংলাদেশ৷ রয়েল বেঙ্গগল টাইগার বলতে, বাংলাদেশকে বোঝায়৷ বাঘকে নিরাপদে রাখতে হবে, বাঘের বংশবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে৷ বাঘ হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে৷'' পাঠক মিন্টু প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদও দিয়েছেন ডয়চে ভেলেকে৷

প্রতিবেদন পড়ে ছদ্মনামে অবিকল নকল লিখেছেন, ‘‘কী মতামত জানাবো? মত প্রকাশের স্বাধীনতা এই দেশে নাই৷ সরকার বিরোধী কিছু কইলেই আমি হই জঙ্গি, না হয় জামাত শিবির না হয় রাজাকার৷''

অন্যদিকে রাজনৈতিক রসিকতা করে রানা কর্মকার লিখেছেন, ‘‘আরে ভাই বাংলার বাঘ তো মাঠে খেলতাছে, বিলুপ্ত হয় কেমনে?''

কামরুজ্জামান বিপ্লবের রসিকতা এ রকম, ‘‘বাঘগুলোকে হায়না খেয়ে ফেলেছে!!''

‘‘জলবায়ু পরিবর্তন আর মানুষের খারাপ স্বভাবের কারণেই বাঘ বিলুপ্ত হচ্ছে'' – এই বলে দুঃখ করেছেন বন্ধু নোমান উদ্দিন৷

আমাদের ফেসবুক-পাঠকদের মধ্যে কেউ কেউ বাঘকে অলস প্রাণি বলছেন, আবার অনেকে বাঘকে বন্ধু মনে করেন বলে লিখেছেন৷ নাজমুল শাহ সরাসরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেছেন, বাঘ রক্ষা করতে সুন্দরবনে বিজিবি মোতায়েন করবার জন্য!

সাইদুল ইসলামের পাল্টা উত্তর, ‘‘বাঘ বিলুপ্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কোনো চিন্তা নেই দেশ প্রধানের৷''

তাসকিন আহমেদ নূরের গর্বিত মন্তব্য, ‘‘বাঘ বাংলার অহংকার৷''

জামশেদুল আলম বাংলার বাঘ নিয়ে গর্বিত৷ তবে তিনি চিন্তিত, কারণ: ‘‘আগামীতে বাঘের সংখ্যা কমে অর্ধেক হয়ে যেতে পারে''৷ তাই তাঁর পরামর্শ, এর জন্য আইনের সাহায্য নিতে হবে৷

শিশির ইসলামের মন্তব্য, ‘‘বিষয়টি নিয়ে সকলকে ‘সিরিয়াসলি' ভাবতে হবে৷''

রুবেল ভাট মনে করেন, সুন্দরবনের পরিবেশ দূষণই নাকি বাঘ কমে যাওয়ার কারণ৷ আর শফিক আল-জাবির রহিমের ধারণা, খাঁচায় বন্দি বাঘগুলোকে ছেড়ে দিলেই নাকি বাঘের সংখ্যা বেড়ে যাবে৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন