1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংঘাতিক বছর

হেডরিক হাইনৎস/এআই১৯ ডিসেম্বর ২০১২

প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে পড়ছেন সাংবাদিকরা, রিপোটার্স উইদাউট বডার্সের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য৷ ২০১২ সালে প্রাণ হারিয়েছে গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১৪১ ব্যক্তি৷

https://p.dw.com/p/175Za
Pakistanische Journalisten protestieren in Karachi gegen die Behinderung ihrer Arbeit (Archivfoto vom 16.03.2007). Die Arbeit von Journalisten weltweit wird immer lebensgefährlicher: Das Jahr 2012 könnte für Reporter das tödlichste Jahr seit 15 Jahren werden. Davor warnte das Internationale Presseinstitut (IPI) in Wien zum Welttag der Pressefreiheit am Donnerstag (03.05.2012). Bis zum 30. April registrierte das Institut bereits 43 getötete Journalisten weltweit. Syrien sei derzeit das gefährlichste Land. Foto: Nadeem Khawer (zu dpa 0982 vom 01.05.2012) +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

‘২০১২ ছিল চরম প্রাণঘাতী এক বছর' – অকপটে সেকথা স্বীকার করেছেন উলরিক গ্রুসকা৷ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ক সংগঠন রিপোটার্স উইদাউট বডার্সের (আরএসএফ) কর্মকর্তা তিনি৷ প্রতিষ্ঠানটির সদ্য প্রকাশিত বাৎসরিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিত্যদিনের কাজ করতে গিয়ে চলতি বছর প্রাণ হারিয়েছেন ১৪১ সাংবাদিক, ব্লগার এবং গণমাধ্যমকর্মী৷ নিহতদের মধ্যে ৬ জন গণমাধ্যমকর্মী, ৪৭ জন ব্লগার, যাঁদের আরএসএফ বলছে ‘সিটিজেন জার্নালিস্ট'৷ অন্যদিকে, ৮৮ সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন দায়িত্ব পালনের সময়৷

আরএসএফ-এর বিবেচনায়, ১৯৯৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক নিহতের সংখ্যা এটাই সর্বোচ্চ৷ চলতি বছর নিহত সাংবাদিকদের অনেকে যুদ্ধক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের সময় কিংবা বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন৷ কেউ কেউ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন৷

Presseausweis Symbolbild
২০১২ সালে প্রাণ হারিয়েছে গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১৪১ ব্যক্তিছবি: Fotolia

আরএসএফ-এর এর প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মিশরের সাংবাদিক আল হুসাইনি আবু দিয়াফের কথা৷ ৩৩ বছর বয়সি এই ফটোসাংবাদিক ডয়চে ভেলে অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং তিনি কাজ করতেন আল-ফাগর পত্রিকায়৷ চলতি ডিসেম্বর মাসে কায়রোর প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনে মুরসি সমর্থক এবং বিরোধীদের সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি, মারা যান ছয়দিন পর৷

ব্লগার নিহতের ক্ষেত্রে ভয়ংকর এক চিত্র ফুটে উঠেছে আরএসএফ-এর প্রতিবেদনে৷ ২০১১ সালে প্রাণ হারায় পাঁচজন ব্লগার৷ অথচ ২০১২ সালে এখন অবধি এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭ জনে৷ এঁদের মধ্যে ৪৪ জনই মারা গেছেন সিরিয়ায়৷ প্রতিষ্ঠানটির মতে, সিরিয়া হচ্ছে সাংবাদিকদের জন্য মৃত্যুকূপ৷ আরব এবং ইসলামি বিশ্ব সম্পর্কিত পত্রিকা জেনিথ ম্যাগাজিনের সম্পাদক নিলস বুটচার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সিরিয়ার সাংবাদিকরা মূলত ক্রসফায়ারে প্রাণ হারাণ৷ সেদেশের বিদ্রোহীরা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকদেরকে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক মনে করে না৷ অনেক ইসলামপন্থী দল রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের উপর পরিকল্পতিভাবে হামলা করছে, তাঁদেরকে অপহরণ এবং হত্যা করেছে৷''

প্রসঙ্গত, রিপোটার্স উইদাআউট বডার্স সিরিয়ার সাংবাদিক এবং অ্যাক্টিভিস্ট মাজান দরবেশকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেছে৷ সিরিয়ায় বাক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা রাখায তাঁকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়৷ গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সিরিয়ায় কারাবন্দি আছেন দরবেশ৷ কারাগারে তাঁকে নিয়মিত নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে আরএসএফ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য