1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাজেটকে গণমুখী বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

১২ জুন ২০১০

বিশ্বকাপ উদ্বোধনের খবর ছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, বাজেট নিয়ে বিশেষজ্ঞ, অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য এবং দুই বাংলার রবীন্দ্রপ্রেমীদের সম্মেলন বিশেষ স্থান পেয়েছে ঢাকার পত্রিকাগুলোর পাতায়৷

https://p.dw.com/p/Np1k
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)ছবি: Mustafiz Mamun

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটকে গণমুখী বাজেট হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এটি উচ্চাভিলাষী বাজেট নয়৷ বাংলাদেশের মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে হবে, এটাই তাঁর সরকারের উচ্চাভিলাষ৷ প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন৷ দৈনিক সমকাল, যায়যায়দিন, ইত্তেফাক, ডেইলি স্টারসহ প্রায় সব পত্রিকায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে এই খবরটি৷ এতে বলা হচ্ছে, প্রস্তাবিত বাজেটকে 'অতি উচ্চাভিলাষী বাজেট' আখ্যায়িত করে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বক্তব্যের জবাবেই এসব কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ বিকেল থেকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দলের নেতারা ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে গণভবনে সমবেত হন৷ প্রথমেই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতারা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তাঁকে৷ এরপর একে একে সমবেত অন্যরাও ফুলের তোড়া তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে৷

দুই সন্তানসহ গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

রাজধানীর পূর্ব জুরাইনের একটি বাসায় ঘটেছে দুই সন্তানসহ মা'র আত্মহননের ঘটনা৷ শুক্রবার সকালে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ তিনটি উদ্ধার করে৷ দৈনিক প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, সমকাল, জনকণ্ঠ, নিউ এইজসহ প্রায় সব পত্রিকার প্রথম পাতায় জায়গা করে নিয়েছে এই মর্মস্পর্শী ঘটনার খবর৷ খবরে বলা হচ্ছে, এ ঘটনার শিকার তিনজন হলেন গৃহবধূ রিতা, ছেলে পাবন ও মেয়ে পায়েল৷ ঘরের দেয়ালে দেখা গেছে শিশু পাবন ও পায়েলের লেখা অনেক ক্ষোভ ও দুঃখের কথা৷ আবেগী কথার প্রতিটি লাইনে পিতৃকুলের ওপর চরম ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে পাবন৷ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে৷ তবে হত্যার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, পাবন ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল৷ পায়েল পঞ্চম শ্রেণীর৷ পাবন ও পায়েলের বাবার নাম রাশেদুল কবির৷ রাশেদুলের বাবা দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ প্রতিনিধি শফিকুল কবির৷ শফিকুল কবিরের দাবি, তাঁর পুত্রবধূ রিতা চার বছর ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘দুই সন্তানকে মেরে ফেলে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷''

ঢাকায় দুই বাংলার রবীন্দ্রপ্রেমীদের সম্মেলন

'আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে/এ জীবন পূর্ণ করো' - দুই বাংলার শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে গাইলেন মিলনায়তনের অতিথি ও দর্শকরা৷ ঠিক যেমনটি একটু আগেই সবাই গাইছিলেন 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি ও জন গণ মন... জয় হে' - রবিঠাকুরের লেখা দুই বাংলার জাতীয় সঙ্গীত৷ এই গানের সঙ্গেই ছন্দ মিলিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে দিনব্যাপী রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে 'বিশ্বে বাঙালি' শীর্ষক উৎসবের উদ্বোধন করলেন জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী৷ সীমান্ত দিয়ে আলাদা করা হলেও বাঙালি জাতির একক পরিচয় বহনের এই সম্মেলনের খবরটি বিশেষ স্থান পেয়েছে দৈনিক যায়যায়দিন, ইত্তেফাকসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায়৷ খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি শিল্পীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালা প্রাঙ্গণ৷ দুই পর্বে বিভক্ত এই উৎসবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ভারতের মোহন সিং, লোপামুদ্রা মিত্র, সুপ্রতিক দাস, তিথি দেব বর্মণ, নিলঞ্জনা সেন, দেবশ্রী মুখার্জী, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ মুখোপাধ্যায়, গোরা চাঁদ রাম ও আবির সিং৷ শর্মিলা বন্দোপাধ্যায় ও তাঁর দল নৃত্যনন্দনের নৃত্য পরিবেশনা দিয়ে প্রথম পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরু হয়েছিল৷ আর আলোকের এই ঝর্না ধারায় ধুইয়ে দাও - মিতা হকের কণ্ঠে পরিবেশিত এই গানটি দিয়েই সূচনা হয় সঙ্গীতানুষ্ঠানের৷

গ্রন্থনা: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী