1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাজেটের লক্ষ্য প্রবৃদ্ধি

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১১ জুলাই ২০১৪

ভারতের রুগ্ন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মোদী সরকারের প্রথম বাজেটের লক্ষ্য দ্বিমুখী৷ প্রবৃদ্ধি ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ৷ ২০১৪-২০১৫ সালের সাধারণ বাজেটে তাই প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে জোর দেয়া হয়েছে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ওপর৷

https://p.dw.com/p/1CZyj
ছবি: picture-alliance/dpa

১০ই জুলাই বিজেপি-জোট সরকারের প্রথম বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ সেই বাজেটে দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দ্বিমুখী নীতি গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে৷ বলা বাহুল্য, গত দু'বছরে ভারতে বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি ছিল পাঁচ শতাংশের নীচে৷ তার সঙ্গে ভরতুকির বোঝা বেড়েছে ৪ দশমিক ১ শতাংশ৷ তাই আগামী ৩-৪ বছরে প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে ৭ থেকে ৮ শতাংশ করার আশা ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী৷

তাঁর পেশ করা বাজেটে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে এবং রাজকোষ ঘাটতি কমিয়ে এনে মুদ্রাস্ফীতিতে রাশ টানার কথা বলা হয়েছে৷ সেই লক্ষ্যে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নিকে হাতিয়ার করতে প্রতিরক্ষা এবং বিমা ক্ষেত্রে বিদেশি পুঁজির পরিমাণ ২৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪৯ শতাংশ৷ কর্মসংস্থানের জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি, বলেন অর্থমন্ত্রী জেটলি৷ ‘কর্পোরেট কালচার' ফিরিয়ে আনতে কর-কাঠামোয় স্বচ্ছতা এনে একটা ইতিবাচক সংশোধনের কথা বলা হয়েছে৷ পরিকাঠামোর উন্নতিতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৭ হাজার কোটি টাকা৷ প্রতিবছর ৮,৫০০ কিলোমিটার সড়ক তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে মোদীর৷ মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ রোজগার গ্যারান্টি স্কিমে পরিবর্তন করা না হলেও, সংশোধন করার কথা বলা হয়েছে৷ দেশে নতুন ৯টি বিমানবন্দর তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে বাজেটে৷ এছাড়া কৃষিজীবীদের ঋণদানের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪,০০০ কোটি টাকা আর সেচ সুবিধা বাড়াতে ১,০০০ কোটি টাকা৷

Indien Finanzminister Arun Jaitley Haushalt 9.7.2014
১০ই জুলাই বিজেপি-জোট সরকারের প্রথম বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিছবি: picture-alliance/landov

অন্যদিকে সামাজিক ক্ষেত্রে তেমন বড় রকম পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই বাজেটে৷ গরিবি কমিয়ে আনার কথা বলা হলেও গরিবমুখী কোনো দিশা নির্দেশ নেই৷ তবে গ্রামাঞ্চলে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎসরবরাহের আশ্বাস রয়েছে বাজেটে৷ আয়করে ছাড়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে৷ সিনিয়ার সিটিজেনদের জন্য বিশেষ আর্থিক প্রকল্প, মহিলাদের সুরক্ষা এবং ‘‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও'' প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা৷

বাজেট ভাষণে নতুন কোনো অর্থনৈতিক দর্শন বা ‘আইডিয়া' দেখা যায়নি বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা৷ স্বাভাবিকভাবেই, শেয়ার বাজারের সূচক বেশ পড়ে যায় বাজেট পেস করার পর৷ কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মধুসূদন দত্ত এই বাজেটের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক সম্পর্কে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মোদী সরকারের প্রথম বাজেটে নতুন দিশা কিছু নেই৷ সাবেক মনমোহন সিং সরকারের বাজেটের ধারাবাহিকতাই মোটামুটি বজায় রাখা হয়েছে এতে৷ আগের সরকারের মতোই ভরতুকি কমানোর দৃষ্টিগ্রাহ্য কোনো সমাধানসূত্র চোখে পড়েনি৷ তবে জমি জট, নীতি পঙ্গুত্ব ইত্যাদি যেসব কারণে সাবেক সরকার বিনিয়োগের অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তুলতে পারেনি, মোদী সরকার সেটা করতে পারবে কিনা – সেটাই এখন দেখার বিষয়৷''

মোদী সরকারের বাজেটের সমালোচনা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, এই বাজেটে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি বা এফডিআই ছাড়া আর কোনো কথা নেই৷ আগে খুচরো ব্যবসায় এফডিআই ছিল, এখন তা খুলে দেয়া হয়েছে প্রতিরক্ষা, বিমা এবং ব্যাংকিং ক্ষেত্রে৷ গরিবদের জন্য ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি৷ এতে সাধারণ মানুষের ওপর তার প্রতিকূল প্রভাব পড়বে৷

তাঁর কথায়, ‘‘এই বাজেটে ভিশন, মিশন ও অ্যাকশনের কোনো কথা নেই৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য