1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাজেটে লক্ষ্য নিয়ে বিলাসিতা

সমীর কুমার দে, ঢাকা ৬ জুন ২০১৪

আগামী অর্থ বছরের জন্য (২০১৪-২০১৫) ঘোষিত প্রস্তাবিত বাজেটে লক্ষ্য নিয়ে বিলাসিতা করা হয়েছে বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ, সিপিডি৷ এই বিলাসিতা দেশের সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য তাদের৷

https://p.dw.com/p/1CDk8
Bengalische Banknoten
ছবি: DW

শুক্রবার দুপুরে এক ব্রিফ্রিংয়ে সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এমন মন্তব্য করেন৷ প্রতিবছর বাংলাদেশে বাজেট ঘোষণার পরদিন সিপিডি এর পর্যালোচনা করে থাকে৷

এবছরের বাজেট পর্যালোচনায় ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান ও আনিসাতুল ফাতেমা৷

ড. দেবপ্রিয় বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ভিত্তিতে সরকার বাজেটের প্রাক্কলন করেছে৷ অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতায়ও একথা স্পষ্ট হয়েছে৷ আর এ কারণে যদি অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেজন্য সরকারের পরিকল্পনাই দায়ী৷ তিনি বলেন, আগামী অর্থ বছরেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি৷ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এবার জিডিপি এক শতাংশ কম হয়েছে৷

ড. দেবপ্রিয় বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে, যা এখন ৭ শতাংশে রয়েছে৷ এটি প্রয়োজন, তবে অর্থ ব্যয় করলেই গুণগত মান বৃদ্ধি পায় না৷ এ ধরনের বিনিয়োগ না হলে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়বে না৷ আবার অগ্রাধিকার খাত হিসেবেও অর্থ বরাদ্দ করা হয় না৷

তিনি বলেন, যোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন এ অর্থ বছরে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের কাজ শেষ হবে৷ অথচ এবার অর্থ বরাদ্দ নেই৷ যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র সময়মতো হওয়ার কথা তা হচ্ছে না৷ ‘‘আমরা ব্যয় বৃদ্ধির পক্ষে, সেই সঙ্গে গুণগত মান বৃদ্ধিও চাই,'' বলেন ড. দেবপ্রিয়৷ আয় ও সম্পদের ওপর কর বৃদ্ধির প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি৷

বৈদেশিক সাহায্য বাড়ানোর পরিকল্পনা ঠিক রয়েছে মন্তব্য করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, তবে এটি বাস্তবসম্মত নয়৷

অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম শিল্পাঞ্চল গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বলেন, শ্রমিক সহায়ক প্রকল্পসমূহ এগোচ্ছে না৷ তবে তিনি মনে করেন আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভালো জায়গায় রয়েছে৷

এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে ‘গ্রিন ট্যাক্স' বা ‘সবুজ রক্ষার সারচার্জ' ধরা হয়েছে এক শতাংশ৷ গ্রিন ট্যাক্সকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন অর্থনীতিবিদরা৷ যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা এফলুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) নেই তাদের এক শতাংশ হারে গ্রিন ট্যাক্সের নামে সারচার্জ দিতে হবে৷

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানে পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা ইটিপি তৈরি করতে মালিকদের বাধ্য করতে হবে৷ তারপরও নতুন করে সারচার্জ আরোপের বিষয়টি ইতিবাচক৷ তিনি বলেন, শুধু সারচার্জ আরোপ করে বসে থাকলেই হবে না, যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইটিপি নেই তারা যাতে দ্রুত এটা করে, সে ব্যাপারে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য