1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাজে খাবার খাওয়াও এক ধরণের নেশা

২৯ মার্চ ২০১০

সর্বক্ষণ হাই ক্যালোরি’র ‘জাংক ফুড’ খেলে মানুষ যে শুধু মোটা হয়, তাই নয় - তাদের মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াই বদলে যায়৷ ইঁদুরদের নিয়ে পরীক্ষা করে দেখে নাকি সেরকমই ধারণা হয়েছে বিজ্ঞানীদের৷

https://p.dw.com/p/MgVk
মোটা হলে আর সার্কাসের ইঁদুর হওয়া চলবে নাছবি: AP

রবিবার ‘‘নেচার নিউরোসায়েন্স'' জার্নালে বেরিয়েছে সে খবর৷ ধেড়ে ইঁদুরদের যথেচ্ছ উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেতে দিয়ে দেখা গেছে যে, তা থেকে তাদের মস্তিষ্কে প্রায় নেশাখোরদের মতো প্রতিক্রিয়া হয়৷ বলতে কি, অন্তত পরীক্ষাগারের পরিস্থিতিতে, তারা ঐ ধরণের খাবারের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে৷ এবং মস্তিষ্কে যে রাসায়নিকটি মানুষকে পুরস্কৃত এবং সন্তুষ্ট বোধ করায়, পরীক্ষাগারের মোটা ইঁদুরদের মধ্যে সেই বিশেষ ডোপামিন রিসেপ্টরের পরিমাণও কমে যায়৷ মজা এই যে, মাদকাসক্ত মানুষদের মধ্যেও এই ব্যাপারটা দেখা যায়৷

ভালো খাবার, বাজে খাবার

ইঁদুর নিয়ে পরীক্ষাটা ছিল এই রকম: ফ্লোরিডার বিজ্ঞানীরা খাবারদাবারের সুপারমার্কেটে গিয়ে ডিংডং, চীজকেক, সসেজ, বেকন ইত্যাদি যা কিছু মিষ্টি এবং তেলতেলে, অর্থাৎ যা কিছু সাধারণ মার্কিনিদের অতি প্রিয়, সেই সব খাবার কেনেন৷ আবার সেই সঙ্গে কিছু হেল্থ ফুড, অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর খাবারও কেনেন৷ এরপর তাঁরা ইঁদুরদের তিনটি দলে ভাগ করে প্রথম দলটিকে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবার দেন; দ্বিতীয় দলটিকে স্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়া হয়, কিন্তু সেই সঙ্গে প্রতিদিন এক ঘন্টা করে উচ্চ ক্যালোরির খাবার; আর তৃতীয় দলটিকে স্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়া হয়, কিন্তু সেই সঙ্গে সব সময়েই নাগালের মধ্যে উচ্চ ক্যালোরির খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়৷

Hamburger, Pommes und Hot Dog
এ’ও এক নেশাছবি: Patricia Waller

ইঁদুরকল

পরীক্ষার ফল: তৃতীয় দলের ইঁদুররা স্বাস্থ্যকর খাবার ফেলে অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝোঁকে৷ সারা দিন ধরে তাদের ঐ জাংক ফুড বা বাজে খাবার খেতে দেখা যায় এবং সেই অনুপাতে তারা মোটাও হয়ে পড়ে৷ এমনকি তাদের বিপদবোধও কমে যায়৷ এখন ইঁদুরদের নিয়ে পরীক্ষা থেকে মানুষের আচার-ব্যবহার এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে সরাসরি কিছু বলা সম্ভব না হলেও, বিজ্ঞানীরা এ'টুকু বলছেন যে, দেখা যাচ্ছে, কখনো-সখনো বাজে খাবার খেলে কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু নিয়মিত বাড়াবাড়ি করলে বিপদ আছে৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম