1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছেলের হারেও জয়ের আনন্দ

৭ জানুয়ারি ২০১৪

এফএ কাপে অভূতপূর্ব এক দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল রোববার৷ লিভারপুলের মুখোমুখি ওল্ডহ্যাম অ্যাথলেটিক৷ ম্যাচ জিতে চতুর্থ রাউন্ডে উঠে গেছে লিভারপুল৷ অবশ্য ফলাফলের চেয়ে বড় হয়ে উঠেছিল বাবার সঙ্গে ছেলের লড়াই৷

https://p.dw.com/p/1AluN
খেলার মাঠে বাবা-ছেলেছবি: Getty Images

তৃতীয় রাউন্ডে সাত বারের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের সঙ্গে ওল্ডহ্যামের এ ম্যাচকে ‘অসম লড়াই' হিসেবেই দেখছিলেন অনেকে৷ প্রথমার্ধে কিন্তু লড়াইটা অসম মনে হয়নি৷ লুইস সুয়ারেজসহ বেশ কয়েকজন নিয়মিত খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখে মাঠে নামা লিভারপুল প্রথম ৪৫ মিনিটে কোনো গোল পায়নি৷ দ্বিতীয়ার্ধে তাই তারকা খেলোয়াড়দের নিয়েই ওল্ডহ্যামের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে লিভারপুল৷ কাজ হয়েছে তাতে৷ দ্বিতীয়ার্ধে দু'গোল করে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে লিভারপুল৷ কোচ ব্রেন্ডান রজার্স ম্যাচ শেষে তাই ভীষণ খুশি৷

লিভারপুল কোচের জন্য দিনটি অন্য কারণেও স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷ ম্যাচ শেষ হবার সাত মিনিট আগে ওল্ডহ্যাম মাঠে নামায় অ্যান্টন রজার্সকে৷ অ্যান্টন লিভারপুল কোচ ব্রেন্ডনের ছেলে৷ মিডফিল্ডার অ্যান্টন মাঠে নামার সময় দারুণ এক দৃশ্য দেখেছে ইংল্যান্ডের ফুটবলামোদীরা৷ ২০ বছর বয়সি অ্যান্টনকে মাঠে নামতে দেখে ওল্ডহ্যামের সমর্থকরা তো বটেই, এমনকি লিভারপুলের সমর্থকরাও করতালি দিয়ে স্বাগত জানায় তাঁকে৷ তাঁর সন্তানকে প্রতিপক্ষ না ভেবে লিভারপুলের সমর্থকরাও হাত তালি দেয়ায় ব্রেন্ডন রজার্স রীতিমতো অভিভূত৷

অ্যান্টনের দল ওল্ডহ্যাম ২-০ গোলে হেরে এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে৷ তারপরও ব্রেন্ডন রজার্সের মুখে শোনা গেছে প্রতিপক্ষের তুমুল প্রশংসা৷ প্রশংসা অ্যান্টনই পেয়েছেন বেশি৷ তাঁর সম্পর্কে বাবা ব্রেন্ডন রজার্স বলেছেন, ‘‘ও চমৎকার খেলেছে৷ ফুটবলার হিসেবে ওকে খুব কম বয়স থেকেই দেখছি আমি৷ আজ ওকে মাঠে নামতে দেখাটা আমার জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা৷ ও ছেলে হিসেবে দারুণ৷ এমন ছেলে পেয়ে আমি আর ওর মা সত্যিই গর্বিত৷''

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য