1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলের জন্য সতর্কবার্তা

ফল্কার ভাগেনার / এসি১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩

বাভেরিয়ায় সিএসইউ দল আবার তাদের স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত: রাজ্য বিধানসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা৷ মুক্ত গণতন্ত্রী এফডিপি দলের ভরাডুবি৷ আগামী সপ্তাহান্তের নির্বাচনের পর চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের এফডিপি-কে প্রয়োজন পড়বে৷

https://p.dw.com/p/19iDT
Bavarian State Premier and leader of the Christian Social Union (CSU) Horst Seehofer gestures as he walks to address his party members in Munich, September 15, 2013. Angela Merkel's allies swept to victory in a state poll in Bavaria on Sunday, winning enough support to regain the absolute majority they had lost in 2008 and boosting the chancellor and her conservatives a week before a German federal election. The Christian Social Union (CSU), sister party of Merkel's Christian Democrats (CDU), won 49 percent according to a TV exit poll. Their coalition partner, the Free Democrats (FDP), polled just 3 percent, crashing out of the state assembly. REUTERS/Michael Dalder (GERMANY - Tags: POLITICS ELECTIONS)
ছবি: Reuters

বাভেরিয়ার ব্যাপার-স্যাপারই আলাদা, সে কথা জার্মানির সবাই জানে৷ রবিবার বাভেরিয়ার রাজ্য নির্বাচনে হলও তাই: খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী সিএসইউ দল শুধু জিতলই না, জিতল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে, ক্ষমতাসীন থাকাকালীন যেটা জার্মানিতে অন্য কোনো দলের পক্ষে – এবং অন্য কোনো প্রদেশে – প্রায় অসম্ভব৷ জার্মানরা এটাকেই বলে ‘বায়ারিশে ফ্যারহেল্টনিসে' বা ‘বাভেরিয়ার বিশেষত্ব'৷

২০০৮ সালে একবার সিএসইউ দল পা ফসকে তাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় এবং মুক্ত গণতন্ত্রী এফডিপি-কে সঙ্গে নিয়ে জোট সরকার গঠন করতে বাধ্য হয়৷ এবার সে বালাই আবার চুকল৷ চুকল বলে চুকল! মাত্র তিন শতাংশ ভোট নিয়ে এফডিপি এবার বাভেরিয়ার বিধানসভা থেকেই বিদায় হল৷ সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দুই শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছে বটে, কিন্তু তাও দৃশ্যত সবুজদের অনেক ভোটার এসপিডি-কে ভোট দেওয়ার ফলে – যেমন বহু এফডিপি ভোটার সিএসইউ-কে ভোট দিয়েছেন৷ যাই হোক, সবুজদের হাঁড়ির হালের মানে তাদের নিয়ে এসপিডি-র জোট সরকার গঠনের স্বপ্নেরও এখানেই সলিলসমাধি৷

ভোট দিয়ে যা, আয় ভোটার আয়

সবচেয়ে মজার কথা: এবার কি পরিমাণ ভোটার ভোট দিতে যাবেন অথবা যাবেন না, তাই নিয়েই সব রাজনীতিক, ভাষ্যকারদের আশঙ্কা ছিল৷ কিন্তু দেখা গেল, ভোট দিতে গেছেন ৬৫ শতাংশ ভোটার, ২০০৮ সালের তুলনায় মোট সাত শতাংশ বেশি৷ ফলে উল্টে এখন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে: আগামী সপ্তাহান্তে সংসদীয় নির্বাচনে কি হবে – কেননা সিএসইউ-র বাভেরিয়ার গদি নিশ্চিত হবার পর এবার বার্লিনে যাতে ম্যার্কেলের শাসন কায়েম হয়, সে জন্য সিএসইউ-কে দ্বিতীয়বার উঁচু ভোটে জিততে হবে, যে জন্য ভোটারদের আবার পোলিং বুথে যেতে হবে, ইত্যাদি৷

আগামী সপ্তাহান্তে বাভেরিয়ার ভোটাররা আরো একটি নতুনত্ব দেখবেন: সদ্যসৃষ্ট ‘আল্টারনাটিভে ফ্যুর ডয়েচলান্ড' বা এএফডি দল বাভেরিয়ার রাজ্য নির্বাচনে অংশ না নিলেও, সংসদীয় নির্বাচনে উপস্থিত থাকছে৷ কাজেই বাভেরিয়ার ভোটাররা ইউরো-বিরোধী এই নতুন দলটিকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন৷

সংসদীয় নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে এফডিপি-কে বাভেরিয়ার বিধানসভা থেকে বিদায় নিতে হল৷ কাজেই বুন্ডেসটাগ নির্বাচনে এফডিপি-র একমাত্র আশা হল ভোটারদের সহানুভূতি, বলছেন পর্যবেক্ষকরা৷ জার্মান নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রথম ভোটটি কোনো একক প্রার্থীকে এবং দ্বিতীয় ভোটটি কোনো দলকে দেওয়া যায়৷ বাভেরিয়ায় সিএসইউ দলের প্রার্থীদের সরাসরি ভোটে জেতার সম্ভাবনা এতো বেশি যে, সিডিইউ-সিএসইউ শিবিরের অনেক ভোটারই হয়তো তাদের দ্বিতীয় ভোটটি এফডিপি-কে দিয়ে সেই পন্থায় কেন্দ্রে ম্যার্কেলের জোট সহযোগীকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইবেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য