1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্ধক্য সরে যাবে দূর থেকে দূরে

২২ জানুয়ারি ২০১১

বয়স বাড়াতে বা বৃদ্ধ হতে কে চায়? বার্ধক্য এড়ানোর কোন পথ নেই – অনেকেই তা ভাবে এবং বিশ্বাস করে৷ বার্ধক্যকে দূরে রাখতে গবেষণাও কম করা হয়নি৷ সম্প্রতি গবেষক এবং বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মানুষ কেন বৃদ্ধ হয়৷

https://p.dw.com/p/100nT
‘‘মানুষ বৃদ্ধ হবে, এটা বন্ধ করার কোন উপায় নেই – তা এখন আর সত্যি নয়৷’’ছবি: Caroline Schrader / Fotolia

রিচার্ড মিলার৷ তিনি মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ধক্য বিষয় নিয়ে অনেকদিন ধরে কাজ করছেন৷ তাঁর গবেষণা প্রসঙ্গে তিনি বললেন,‘‘বার্ধক্য নিয়ে আমরা গবেষণা করছি – আগে মানুষ একথা শুনলে তা নিয়ে হাসাহাসি করতো৷ আমাদের বলা হত আমরা অযথা সময় নষ্ট করছি৷ কারণ তখন সবাই ধরে নিয়েছিল বার্ধক্য এড়ানোর কোন উপায় নেই – বার্ধক্য অপ্রতিরোধ্য৷ তবে আমরা বেশ কিছু প্রাণীর জীবনে পরিবর্তন এনেছি৷ কৃমি, মাছি, ইঁদুর – এসব প্রাণী এখন অনেক দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে৷ বিশেষ খাওয়া-দাওয়া, জেনেটিক্সের কিছু বিষয় এবং নতুন কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে তা সম্ভব হয়েছে৷ মানুষ বৃদ্ধ হবে, এটা বন্ধ করার কোন উপায় নেই – তা এখন আর সত্যি নয়৷''

EU-Kommission Renteneintrittsalter Flash-Galerie
নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ১৫০ বছর পর্যন্ত মানুষকে বেশ সুস্থভাবেই বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব৷ছবি: picture alliance / dpa

রিচার্ড মিলার আরো জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে পরীক্ষা চালানো হয়েছে কৃমি আর মাছির ওপর৷ দেখা গেছে, এই প্রাণীগুলো অন্তত তিনগুন বেশি আয়ু নিয়ে বেঁচে ছিল ল্যাবে, বিশেষ ধরণের খাওয়া-দাওয়া এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার সাহায্যে৷ তবে ইঁদুরের বেলায় দেখা গেছে, বিশেষ একটি হরমোন নির্গমন বন্ধ থাকলে ইঁদুরও অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারে৷ স্প্রিংফিল্ডের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দ্রেই বার্টকে বললেন,‘‘ ইঁদুরের দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার বিষয়টি নির্ভর করছিল অনেকগুলো শর্তের ওপর৷ তা থেকেই আমরা বলতে পারি, অনেক কিছু প্রমাণ করা সম্ভব৷ ২০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ইঁদুরের আয়ু বাড়ানো সম্ভব হয়েছে৷''

মানুষের বেলায় তা হতে পারে প্রায় ১৫০ বছর পর্যন্ত এবং মানুষকে বেশ সুস্থভাবেই বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে৷ বেশ জোর দিয়েই কথাগুলো বলেন আন্দ্রেই বার্টকে৷ বার্টকের ভাষায়,‘‘যে হরমোন বার্ধক্যের দিকে শরীরকে এগিয়ে নিয়ে যায় তা এক ধরণের ইনসুলিনের মাধ্যমে কমানো সম্ভব৷ মানবদেহে ইনসুলিন প্রবেশ করলে তা অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে ওঠে এবং শরীর তখন কম ইনসুলিন উৎপাদন করে৷ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার একটি হল শরীর শর্করা ছাড়া থাকতে সক্ষম হয়৷ এর ফলে শুধু আয়ু বাড়ানোই সম্ভব হয় না, যে কোন মানুষকে সুস্থ রাখাও সম্ভব হয়৷ অর্থাৎ ইনসুলিন শুধু আয়ু বাড়াবে না, এর পাশাপাশি যে কোনো দেহকে বা শরীরকে সুস্থও রাখবে৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন