1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বার্লিন ওয়াল’এর ৪৯তম বর্ষপূর্তি

১৩ আগস্ট ২০১০

বারনাওয়ার সড়ক-সংলগ্ন ‘বার্লিন মাওয়ার মিউজিয়াম’এ সকাল থেকেই বিস্তর মানুষের সমাগম৷ এখানেই ১৩ অগাস্ট ১৯৬১ সালে প্রথম নির্মিত হয় বার্লিন প্রাচীর৷ সেই প্রাচীর এখন আর নেই৷ কিন্তু তা নিয়ে মানুষের স্মৃতি, আবেগ কতটা উদ্বেলিত?

https://p.dw.com/p/OnF4
বার্লিন প্রাচীর দাঁড়িয়েছিল এভাবেইছবি: Andrzej Stach

দেশ-বিদেশের ভ্রামণিক এখনো আসেন বার্লিন দেয়াল দেখতে৷ কোথায় ছিল, কেমন ছিল, কতটাই বা উঁচু ছিল - এ সব দেখার-জানার তুমুল কৌতূহল এখনো৷

সেই বার্লিন দেয়ালের চিহ্ন কয়েকটি জায়গায় এখনো আছে৷ যেমন ‘গুস্ট বানহোফ'-এর কাছে৷ নাম ‘ইস্ট গাইড গ্যালারি‘৷ সেখানে দেয়ালজুড়ে নানা আঁকিবুঁকি, গ্রাফিটি৷

এই প্রাচীরটি হয় ১৯৬১ সালে৷ তৎকালীন পূর্ব বার্লিনের বারনাউয়ার স্ট্রাসে বা সড়কে ১২ আগস্ট দিন পেরিয়ে মধ্যরাতে, অর্থাৎ ১৩ আগস্টে দেওয়াল নির্মাণ শুরু হয়৷ দেয়াল এক মাসের মধ্যে ২৫ কিলোমিটার লম্বা হয়ে যায়, উচ্চতা ১৫ ফুট৷ তিন মাসে ৭৫ কিলোমিটার৷ ১৯৮০ সাল পর্যন্ত হয় ৮৬ কিলোমিটার৷ এরপরও কাজ চলেছে৷ বার্লিন দেয়ালের দৈর্ঘ্য ছিলো ১৬১ কিলোমিটার৷

দেয়াল নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই পূর্ব বার্লিন থেকে আড়াই মিলিয়ন (২৫ লাখ) লোক পশ্চিম বার্লিনসহ পশ্চিম জার্মানির বিভিন্ন শহরে চলে আসে৷ পূর্ব জার্মানির কম্যিউনিস্ট সরকার উপয়ান্তর না দেখে গোটা সীমান্ত বৈদ্যুতিক কাঁটাতারে ঘিরে ফেলে৷ নির্মাণের পর থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দেয়াল টপকাতে গিয়ে ১৯১ জন পুলিশের গুলিতে নিহত হন৷ ওই বছরই ভাঙা হয় এই প্রাচীর৷

বার্লিন দেয়াল নির্মাণ যেখানে শুরু হয়েছিলো, বারনউয়ার সড়কে বার্লিনার মাউয়ার বা বার্লিন দেয়াল জাদুঘর তৈরি হয়েছে৷ বিস্তর দর্শকের ভিড় লেগে থাকে সেখানে৷ এই দেয়াল মিউজিয়াম দেখে অনেকেই আবেগাক্রান্ত, উদ্বেলিত৷

প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার

সম্পাদনা: মনিরুল ইসলাম