1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিন কাণ্ড জার্মানিতে পরিবর্তন আনবে

২২ ডিসেম্বর ২০১৬

অনেকদিন ধরে জার্মানরা যে আশঙ্কায় ছিল অবশেষ সেটি সত্যি হলো৷ বার্লিনের হামলা জার্মানিতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য বলে মনে করেন ডয়চে ভেলের প্রধান সম্পাদক আলেক্সান্ডার কুডাশেফ৷

https://p.dw.com/p/2UeuA
প্রতীকী ছবি
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Jensen

বার্লিনের হামলা সকলকে প্রচণ্ড আঘাত করেছে এবং আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে৷ ১২ জন নিহত হয়েছে৷ আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন৷ তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা মারাত্মক৷ এই হামলা, এই সন্ত্রাসী কাজের লক্ষ্য ছিল পুরো দেশ তথা জার্মানরা যে সমাজে বাস করেন সেই মুক্ত সমাজ৷ ক্রিসমাস মার্কেটের মতো শান্তিপূর্ণ জায়গায় হামলা করা হয়েছে, যেখানে জার্মানরা ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আসা মানুষ তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের ঝক্কি থেকে খানিকটা মুক্তি পেতে বড়দিনের আমেজ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়৷

সবাইকে লক্ষ্য করে হামলা

আমরা যাঁরা স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে চাই, তাঁরা সবাই এই হামলার লক্ষ্য ছিলাম৷ আমাদের ইচ্ছার উপর এই হামলা হওয়ার কারণে জার্মানিতে পরিবর্তন আসবে৷ আমরা আর এখন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় নেই, আমরাও এখন ব্রিটিশ, ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, ইসরায়েলি, মার্কিন সহ অন্যান্যদের মতো ভুক্তভোগী হয়ে গেছি৷

হামলাকারী মানসিকভাবে সুস্থ ছিল কিনা, সে একা হামলা করেছে কিনা, মৌলবাদী কোনো গ্রুপ এর পেছনে আছে কিনা – এ সব আলোচনা এখন মুখ্য নয়, বরং এই হামলা মুক্ত সমাজের উপর আক্রমণ এবং এটিকে সেভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে৷ ক্রিসমাস মার্কেটে হামলার মাধ্যমে খ্রিষ্টান প্রতীকের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে, যেটি জার্মানিসহ ইউরোপীয় ঐতিহ্যের অংশ৷

চ্যান্সেলর ঠিক বলেছেন: হামলার দিনটি জার্মানির জন্য একটি কঠিন দিন৷ গত কয়েক বছরে জার্মানিতে ছোট ও মাঝারি আকারের কয়েকটি হামলা হয়েছে, কয়েকটি আবার ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে৷ তবে বার্লিনের হামলাটি সব বিবেচনায় অনেক বড় একটি ঘটনা৷

আলেক্সান্ডার কুডাশেফ
ডয়চে ভেলের প্রধান সম্পাদক আলেক্সান্ডার কুডাশেফ

জার্মান সমাজের মানসিকতায় পরিবর্তন আসবে৷ সন্ত্রাসবাদকে আমাদের স্বাধীনচেতা মনোভাবে প্রভাব ফেলতে না দিতে আমরা এতদিন যে দৃঢ়সংলকল্প ছিলাম সেটা এবার কিছুটা নড়বড় হয়ে পড়বে৷ জার্মানরা এবার থেকে একটু কম নিরাপত্তা বোধ করবে৷

একটি রাজনৈতিক ভূমিকম্প?

হামলাকারী যদি শরণার্থী হন তাহলে ভবিষ্যতে এ ধরণের ভূমিকম্প দেখা দিতে পারে৷ চ্যান্সেলরের শরণার্থী নীতি কঠোর সমালোচনার মুখে পড়বে৷ শুধু তাই নয়, জার্মান সমাজ যেরকম বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে শরণার্থীদের গ্রহণ করেছে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷

এমন দিনে শান্ত থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু শান্ত থাকা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে৷ ২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বরের সন্ধ্যা জার্মানিকে পরিবর্তিত করবে৷ কতটা? সেটিই এখন দেখার বিষয়৷ 

আলেক্সান্ডার কুডাশেফ/জেডএইচ

প্রিয় পাঠক, আপনি কি আলেক্সান্ডার কুডাশেফের সঙ্গে একমত? জানান নীচে মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য