1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাহরাইনে সংঘর্ষ, বাংলাদেশিসহ ৩ জন নিহত

১৬ মার্চ ২০১১

বাহরাইনে মঙ্গলবার রাতে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে এবং এরপরে বাহরাইনের রাজা হামাদ দেশে সামরিক আইন জারি করেছেন৷ সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে৷ নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি বলে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/10Zf0
বাহারাইনে সংঘর্ষছবি: AP

বাকি দুইজনের মধ্যে একজন পুলিশ ও আরেকজন বাহরাইনের সাধারন নাগরিক৷ শিয়া অধ্যুষিত অঞ্চল সিত্রায় ঐ সংঘর্ষে ২শ জন আহত হয়েছেন৷ বাহরাইনে শতকরা ৬০ ভাগেরও বেশি মানুষ শিয়া মুসলমান৷ তাদের দাবি দেশটির সুন্নি রাজপরিবারের হাতে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন৷ তারা রাজতন্ত্র উচ্ছেদের আহ্বান জানিয়েছে৷ যা সংখ্যালঘু সুন্নিদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করেছে৷ বাহরাইন সরকার এই বিক্ষোভ দমনে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে, এবং যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে৷ এর আগে সুন্নি শাসিত সৌদি আরব বাহরাইন সরকারের অনুরোধে বিক্ষোভ দমনে সোমবার বাহরাইনে সৈন্য পাঠিয়েছে৷ এদিকে বাহরাইন ও সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাহরাইনে ক্রমবর্ধমান জাতিগত সংঘাতে তারা উদ্বিগ্ন৷ কায়রোতে অবস্থানরত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, সংকট সমাধানে আলোচনা চালিয়ে যাবার জন্যে তিনি ইতিমধ্যেই সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বান জনিয়েছেন৷

এদিকে প্রতিবেশি বাহরাইনে বিক্ষোভ দমাতে সৌদি আরবের সৈন্য অনুপ্রবেশের মাধ্যমে দু'দেশে বিরাজমান উত্তেজনা আরো বাড়ানোরই ঝুঁকি বেড়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল৷ সৌদি কর্তৃপক্ষ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটির অবকাঠামোগত নিরাপত্তা এবং একটি রাজনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজে বের করার জন্যে বাহরাইন সরকারের অনুরোধেই সেখানে সৈন্য পাঠানো হয়েছে৷ সোমবার বাহরাইনে ৫শ পুলিশ এবং ১ হাজার সৈন্য পাঠানো হয়েছে৷ পর্যবেক্ষক মহল আরো বলছে, বিক্ষোভের ফলে বাহরাইনে অবকাঠামোগত কোন সংকট দেখা দেয়নি, যাতে অন্য দেশের সৈন্য অনুপ্রবেশের প্রয়োজন৷ অব্যাহত গণবিক্ষোভের মুখে বাহরাইনে তিন মাসের জন্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম