1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাড়ছে অভিবাসীদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি

১৪ মার্চ ২০১০

অনেক ক্ষেত্রে অভিবাসীরা বিভিন্ন ধরণের রোগের বাহক, তবে তাদের নিজেদের স্বাস্থ্যও ঝুঁকির বাইরে নয়৷

https://p.dw.com/p/MSU4
গ্রেফতার বা নির্বাসিত হবার ভয়ে অভিবাসীরা স্বাস্থ্য সেবা নিতে যান নাছবি: AP

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অভিবাসন বিশেষজ্ঞ জ্যাকলিন উইকার বলেন, অভিবাসীদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিষয়টিতে মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২১৪ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক এবং ৭৪০ মিলিয়ন আভ্যন্তরীণ অভিবাসী রয়েছে৷ জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএ কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উইকার বলেন, বিভিন্ন গোষ্ঠির এই অভিবাসীদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে বিভিন্ন অরক্ষিত মাত্রায়৷ তিনি বলেন, অনিবন্ধিত এবং যাদের বসবাসের অনুমতি শেষ হয়েছে তাদের পক্ষে ঘন ঘন স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া সম্ভব হয় না৷ এছাড়া দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাস ও প্রান্তিক অবস্থায় বসবাসও এই অভিবাসীদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি সৃষ্টির বড় কারণ৷

উইকার জানান, অনেকের স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও তারা জানেন না কোথায় গেলে তারা স্বাস্থ্য সেবা পেতে পারেন৷ এদের মধ্যে অনেকেই ভয়ে স্বাস্থ্য সেবা নিতে যান না, তারা মনে করেন সেখানে গেলে তাদের গ্রেফতার বা নির্বাসিত করা হতে পারে৷ আবার এদের অনেকের স্বাস্থ্যের অবস্থা অরক্ষিত কারণ তারা যুদ্ধ, প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে জর্জরিত৷

Immigranten auf den Kanarischen Inseln
বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২১৪ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক ও ৭৪০ মিলিয়ন আভ্যন্তরীণ অভিবাসী রয়েছেছবি: AP

আফ্রিকান অনিবন্ধিত অভিবাসীরা স্পেনে পাড়ি দেয়ার সময় অতিরিক্ত ভিড়ে যানবাহন ব্যবহার করায়, ক্ষুধায় কাতর থাকায়, পানি শূণ্যতার ভোগে এবং অনেক সময় ভীষণ অসুস্থ হয়ে শয্যা নেয়৷ তারা ইউরোপে প্রবেশ করতে পারলেও বসবাস করে দরিদ্রভাবে এবং চিকিৎসা সেবার কোন সুযোগ তারা পায় না৷ অভিবাসন বিশেষজ্ঞ জ্যাকলিন উইকার বলেন, অভিবাসীরা অনেকটা একাকী বসবাস করে৷ ভাষা না জানাও তাদের আরও একটি বড় সমস্যা৷ তাছাড়া সামাজিক বাধা ও নিজ পরিবারের সাথে দীর্ঘ সময়ের বিচ্ছেদের কারণে তারা আরও বেশি একা হয়ে পড়ে৷ আর এই কারণে অনেকেই মানসিকভাবে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পরে৷

তিনি জানান, অনেক সময় অভিবাসীরা এমন সব রোগে আক্রান্ত হন যা কিনা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে অপরিচিত৷ আর এ কারণে তারা তা ঠিকমতো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে স্বাস্থ্য সেবা দিতে ব্যর্থ হন৷ ২০০৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেয়া পদক্ষেপকে উইকার মাইলস্টোন বলে আখ্যায়িত করেন৷ এই পদক্ষেপের মধ্যে অভিবাসনের নীতিগুলো সঙ্গতিপূর্ণ ও সমন্বয় করার কথা বলা হয়৷ আর এতে যে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা হল - যে সব দেশ থেকে অভিবাসীরা আসছেন সে দেশ, ট্রানজিট এবং গন্তব্যস্থলের মধ্যকার যোগাযোগ স্থাপন করা৷

প্রতিবেদক : আসফারা হক

সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন