1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএনপির ডাকা হরতাল কার্যত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে

৩০ নভেম্বর ২০১০

বাংলাদেশে বিরোধী দলের ডাকা হরতালে নিয়ন্ত্রণ ছিল মঙ্গলবার পুলিশের হাতে৷ এর মধ্যেও বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে৷ আর শেষ বিকেলে কয়েকটি গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা হরতালে শেষ মূহূর্তের উত্তাপ ছড়ায়৷

https://p.dw.com/p/QLtb
সেনানিবাসের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার উচ্ছেদের পর থেকেই অশান্তি চলছেছবি: AP

হরতালে বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজধানীতে পুলিশের কড়া টহলের মুখে তেমন দাঁড়াতেই পারেনি৷ আর নয়াপল্টনের বিএপির কার্যালয় পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে৷ এর মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে পিকেটার ও বিএনপি পন্থী আইনজীবীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে৷ পুলিশ সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরীসহ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করে৷

হরতালে নয়াপল্টন , মহাখালী, পুরনো ঢাকা ও জজকোর্ট এলাকায় হরতাল সমর্থকদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যায় পুলিশ৷ বিএনপি মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকতে না পেরে রাস্তায়ই কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে৷ তিনি বলেন, পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি৷ নেতা-কর্মীরা কোথাও দাঁড়াতে গেলেই পুলিশের অ্যাকশনের মুখে পড়েছে৷ তার দাবি, ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপির একহাজার নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে৷ এত কিছুর পরও সাধারণ মানুষ স্বত:স্ফূর্ত ভাবে হরতাল পালন করেছে৷

পুলিশ বলেছে, তারা আইন-শৃংখলা রক্ষায় যা করণীয় তাই করেছে৷ জনগণের জান-মাল রক্ষা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব৷

ঢাকায় হরতাল বিরোধী মিছিল ছিল চোখে পড়ার মত৷ চট্টগ্রাম মহানগরী মূলত শাসক দল আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণেই ছিল৷ হরতাল সমর্থকদের তেমন দেখা যায়নি৷ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু দাবি করেছেন, সাধারন মানুষ এই হরতাল প্রত্যাখ্যান করছে৷ পুলিশ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশনে যায়নি৷ যারা আইন-শৃংখলা ভঙ্গ করেছে বা ভঙ্গ করার প্রবণতা দেখিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ৷

তবে হরতালে রাজধানীতে যানবাহন চলাচল ছিল বেশ কম৷ দূরপল্লার বাস চলেনি৷ খোলেনি দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান৷ যা মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয়৷

এবার তৈরি পোশাক শিল্প ছিল হরতালের আওতামুক্ত৷ তাই সেখানে কাজ হয়েছে পুরোদমে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক