1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিক্ষোভ, হরতালে নাজেহাল গ্রিস

১১ মার্চ ২০১০

বিপুল বাজেট ঘাটতি সামাল দিতে গ্রিসের সরকার এমন সব পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে, যার ফলে দেশের মানুষ তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছে৷ ধর্মঘট, হরতাল, অসন্তোষ, সংঘর্ষে প্রায়ই অচল হয়ে পড়ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সদস্য দেশ৷

https://p.dw.com/p/MQa5
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গ্রিসের মানুষছবি: AP

সরকারি পদক্ষেপ

কোন দেশে বিপুল বাজেট ঘাটতি হলে বিষয়টি সেই দেশের নিজস্ব সমস্যা হিসেবেই বিবেচিত হয়৷ কিন্তু গ্রিসে যেহেতু অভিন্ন মুদ্রা ইউরো চালু আছে, তাই বিষয়টি শুধু গ্রিসের নিজস্ব নয়, এই সঙ্কটের ফলে গোটা ইউরো এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ ছলে-বলে-কৌশলে বহুদিন গোপন রাখার পর গ্রিসের মারাত্মক বাজেট ঘাটতি সামাল দিতে সরকারকে বিশাল মাত্রায় ব্যয়সঙ্কোচ করতে হচ্ছে৷ সরকারী কর্মচারীদের বেতনে কাটছাঁট করা হচ্ছে, করের বোঝা বাড়ানো হচ্ছে, পেনশনের হার স্থির করে দেওয়া হয়েছে৷

রোষের বহিঃপ্রকাশ

চলতি মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় দিন ২৪ ঘন্টার ধর্মঘট ঘোষণা করা হয়েছে৷ রাজধানী এথেন্স সহ বিভিন্ন শহরের দৃশ্য দেখলে ভারত-বাংলাদেশের বিক্ষোভ, মিছিল, বনধ বা হরতালের কথা মনে পড়ে যাবে৷ বৃহস্পতিবার এথেন্সে প্রায় ৫০,০০০ মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে৷ সংসদ ভবন ও পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে তরুণ বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব থামাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে৷ বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে পেট্রল বোমা ও পাথর ছুঁড়ছিল৷ প্রায় ২০০ তরুণ মুখোশ বা হেলমেট পরে আবর্জনা ফেলার বিনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল৷ তারা আশেপাশের দোকান, ব্যাঙ্ক, কাফেতে ভাঙচুর করে৷ দোকানদাররা শাটার বন্ধ করে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করলেও সব ক্ষেত্রে সফল হয় নি৷ তাদের রোষের মুখে পড়ে মোটর সাইকেল আরোহী কিছু পুলিশকর্মীও৷ তাদের নামিয়ে মারধর করা হয়৷ কমপক্ষে ৫ পুলিশ অফিসারকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে৷ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ উত্তরের থেসালোনিকি শহরে প্রায় ২০,০০০ মানুষ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছে৷ শুধু নিজেদের সরকার নয়, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তারা দায়ী করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও৷

জনজীবন অচল

জনজীবনের প্রায় কোন ক্ষেত্রই আর স্বাভাবিক অবস্থায় নেই৷ ট্রাম, বাস, ট্রেন, ফেরি, জাহাজ থেকে শুরু করে বিমান পরিবহন কাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এমনকি গ্রিসের আকাশসীমার মধ্যে অন্য বিমানও প্রবেশ করতে পারছে না৷ আবর্জনার স্তূপ বেড়ে চলেছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: দেবারতি গুহ