1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিচারপতিদের রেহাই দেওয়ার আহ্বান

২৪ এপ্রিল ২০১১

সংবিধান সংশোধনে সাবেক বিচারপতি, সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং রাজনৈতিক নেতাদের মতামত নেয়া শুরু করেছে বিশেষ সংসদীয় কমিটি৷ আজ ৫ জন সাবেক প্রধান বিচারপতিসহ সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং সিনিয়র আইনজীবীকে মতামত দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়৷

https://p.dw.com/p/113CA
বাংলাদেশ হাই কোর্টছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাদের মতামত গ্রহণ করা হয়৷ তাঁরা নানা মতামতের পাশাপাশি ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন৷ সংসদীয় কমিটি মোট ৩ দিন এই মতামত নেবে৷ এরপরই সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে সংবিধান সংশোধনে তাদের চূড়ান্ত মতামত দেবে৷ তা আবার সংসদে আলোচনা হবে৷ বাংলাদেশে সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম এবং সংবিধান বিশষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন তাঁর মতামত দিতে গিয়ে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সংবিধানের ধারা গুলো পুনরুজ্জীবীত হলে কমিটির বাস্তবে তেমন কিছু করার থাকবে না৷ তবে তিনি বলেন, পরিস্থিতির কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে জায়গা করে নিয়েছে৷ তাই পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে এই ব্যবস্থা তুলে দেয়া ঠিক হবে না৷ তাঁর মতে '৭২-এর সংবিধানে ফিরে গেলে দেশের মানুষের কল্যাণ হবে৷

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. এম জহির বলেন কোন ধর্মকে সাংবিধানিকভাবে প্রাধান্য দেয়া যায় না৷ তাই ধর্মনিরপেক্ষতা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে৷ তাঁর মতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থেকে বিচারপতিদের বাইরে রাখা উচিত৷ সাবেক প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতিদের এই ব্যবস্থার প্রধান করার যে বিধান তা বিচারবিভাগকে বিতর্কিত করার সুযোগ করে দিচ্ছে৷ তাঁর মতে একটি রাজনৈতিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করা উচিত৷

সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামাল মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ইমপিচমেন্ট করার ক্ষমতা সংসদের হাতে দেয়া ঠিক হবে না৷ তাঁর মতে বর্তমান সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলই বহাল রাখা উচিত৷ মতামতদানকারী বিচারপতি এবং বিশেষজ্ঞরা সবাই ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধনের ওপর জোর দিয়েছেন৷ কাল সকালে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং বিকেলে জাতীয় পার্টি ও জাসদসহ আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দলের মতামত নেয়ার কথা৷ বিশেষ সংসদীয় কমিটির প্রধান সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীসহ কমিটির সদস্যরা সবাই আজ মতামত গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা