1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিচ্ছিন্ন সার্ভার দিতে পারে নিরাপত্তা

আলেক্সা মায়ার/এসবি১৬ ডিসেম্বর ২০১৪

এনএসএ এবং হ্যাকারদের উৎপাতে আজ ইন্টারনেটের উপর আস্থা রাখা কঠিন৷ কোম্পানিগুলির মূল্যবান তথ্যভাণ্ডার ‘ক্লাউড'-এ থাকলে তার অপব্যবহারের আশঙ্কা থেকেই যায়৷ একটি জার্মান কোম্পানি হাতের নাগালেই নেটওয়ার্ক রাখার সুযোগ করে দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1E5Lb
Symbolbild Cloud Computing
ছবি: Fotolia/lpstudio

ছোট এই বক্স প্রতিযোগিতায় ক্লাউড পরিষেবার মোকাবিলা করতে চায়৷ হামবুর্গের প্রোটোনেট কোম্পানি তাই এক বিশেষ ডিভাইস তৈরি করছে৷ সেই সঙ্গে দিচ্ছে একটি নতুন অফিস সফটওয়্যার৷ এই মিনি সার্ভারে রয়েছে দুটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক৷ একটি নিরাপদ ইন্টারনাল নেটওয়ার্ক, অন্যটি অতিথিদের জন্য৷

কোনো কোম্পানির কর্মীরা এই বক্সের মাধ্যমে তথ্যের আদানপ্রদান করতে পারেন, একসঙ্গে একই ফাইল নিয়ে কাজ করতে পারেন, নিজেদের ক্যালেন্ডার সামলাতে পারেন, পরস্পরের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন৷ নেট পরিষেবা কোম্পানি বা বাইরের কোনো লোক তার নাগাল পাবে না৷ প্রোটোনেট কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা আলি জেলভেহ বলেন, ‘‘আমি প্রায়ই বড় বড় কম্পিউটিং কেন্দ্রে যাই৷ এনএসএ-র মতো সংস্থা তার নাগাল পেয়ে যায়৷ তখন শুধু এক-দু'জন বা এক'শ জন নয়, কোটি কোটি মানুষের তথ্য আমার হাতে চলে আসতে পারে৷ প্রোটোনেট বিষয়টি অন্যভাবে করে৷ আমরা নেটওয়ার্কটা ‘ডিসেন্ট্রালাইজ' করে ফেলি৷ অর্থাৎ প্রতিটি বক্স-কে আলাদা করে হ্যাক করতে হবে, তথ্য বার করতে হবে৷ ফলে নজরদারি ও তথ্য চুরির কাজ অনেক কঠিন হয়ে পড়ে৷''

NSA-Hauptquartier in Fort Meade (Maryland)
মেরিল্যান্ডের ফোর্ট মিড’এ এনএসএ’র হেডকোয়ার্টার্সছবি: picture-alliance/dpa

বড় বক্স-টির দাম ৪,০০০ ইউরো, তাতে ১৬ টেরাবাইট তথ্য ধরে৷ ছোট বা মাঝারি মাপের কোম্পানির জন্য এটি উপযুক্ত৷ হামবুর্গ-এর ‘ফ্যামিলোনেট' নামের স্টার্ট-আপ কোম্পানি এমন একটি মিনি-সার্ভার কিনেছে৷ তারা এমন এক অ্যাপ বিক্রি করে, যা দিয়ে পরিবারের সদস্যরা নিজেদের অনেক কাজ সারতে পারে, কে কোথায় আছে, তা জানতে পারে৷

এর মধ্যেই প্রায় ৯৫,০০০ ইউজার এই পরিষেবা কাজে লাগাচ্ছেন, মূলত জার্মানিতেই৷ অ্যামেরিকায়ও কিছু গ্রাহক আছেন৷ পরিবার বলেই তথ্য সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব দেয় এই কোম্পানি৷ ফ্যামিলোনেট কোম্পানির ডাভিড নেলসসেন বলেন, ‘‘আমরা যদি ড্রপবক্স বা গুগল ড্রাইভ-এর মতো অন্য কোনো ক্লাউড-ভিত্তিক পরিষেবা ব্যবহার করতাম, তখন আমাদের তথ্য অ্যামেরিকা বা অন্য কোথাও চলে যেতো৷ সেই তথ্যের উপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকতো না৷ আর প্রোটোনেট আমাদের অফিসেই রয়েছে৷ তথ্য কোথায় রাখা হচ্ছে, আমরা তা জানি৷ সেটা আমাদের হাতেই রয়েছে৷ এটা আমাদের জন্য খুব জরুরি৷''

ফেরা যাক প্রোটোনেট কোম্পানিতে৷ ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোম্পানি প্রায় ৪০০ সার্ভার বিক্রি করেছে৷ চলতি বছরের শেষের মধ্যে আরও ১,০০০ বক্স বিক্রি হবার কথা৷ এখনো পর্যন্ত মূলত জার্মানভাষী এলাকা থেকেই অর্ডার আসছে৷ কিন্তু কোম্পানি অন্যান্য দেশেও সাফল্য পেতে চায়, যদিও তা সহজ নয়৷ আলি জেলভেহ বলেন, ‘‘এই পরিষেবা বিশাল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সাধারণত অনেক মূলধন লাগে৷ অ্যাপল, অ্যামাজন বা গুগলের মতো কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপনের বাজেট আমাদের নেই৷''

আপাতত প্রোটোনেট সোশাল নেটওয়ার্ক ও সন্তুষ্ট ক্রেতাদের উপর নির্ভর করছে, যাঁরা বাকিদের এই পরিষেবা নিতে উৎসাহ দেবেন৷ এনএসএ-র গুপ্তচরবৃত্তি ও হ্যাকার-দের হামলার এই যুগে কোম্পানির ৩২ জন কর্মী বর্তমান চাহিদা পূরণ করতেই হিমসিম খাচ্ছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য