1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩১ মে ২০১৪

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে উত্তেজনা অব্যাহত আছে৷ বুধবার মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে নিহত বিজিবি নায়েক মিজানুর রহমানের লাশ শনিবার বিকাল পর্যন্ত ফেরত দেয়া হয়নি৷

https://p.dw.com/p/1C9ry
বুধবার মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে নিহত বিজিবি নায়েক মিজানুর রহমানের লাশ শনিবার বিকাল পর্যন্ত ফেরত দেয়া হয়নিছবি: Reuters/Andrew Biraj

ঢাকায় মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে শনিবার সকালে তৃতীয় দফায় তলব করা হয়েছে৷ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ‘‘শনিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিউ মিন্ট থানকে ডেকে এনে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে৷ সীমান্তে গুলিবর্ষণ বন্ধ এবং নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে৷'' এর আগে বৃহস্পতি এবং শুক্রবার দু'দফায় তাঁকে তলব করা হয়৷

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সফায়াত মোহাম্মদ সাইদুল্যাহ বলেছেন, ‘‘শনিবার দুপুরের পর বিজিবি নায়েক মিজানুর রহমানের লাশ ফেরত দেয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু মিয়ানমার বিকেল পর্যন্ত লাশ ফেরত দেয়নি৷ তবে লাশ ফেরত আনতে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত আছে৷'' তিনি জানান বুধবার মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা তাঁকে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেলেও তা স্বীকার করে শুক্রবার৷ আর মিয়ানমারের অনলাইন পত্রিকায়ও এক বাংলাদেশি হত্যার খবর ছাপা হয় পুলিশের বরাত দিয়ে৷

Proteste gegen Wahl in Bangladesh
সীমান্তে বিজিবিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে (ফাইল ছবি)ছবি: Reuters/Andrew Biraj

সীমান্তে উত্তেজনা

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে শুক্রবারও বিজিবির ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী৷ জবাবে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছুড়েছে৷ বেলা আড়াইটা থেকে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় আড়াই ঘণ্টা গুলিবিনিময় হয়৷ স্থানীয় সূত্র জানায় শনিবারও একই ধরণের গুলির ঘটনা ঘটে৷ বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, বিকেলে গোলাগুলি থেমে গেছে৷ বিজিবি সর্বোচ্চ সংযমের পরিচয় দিচ্ছে৷

এদিকে গত বুধবার থেকে সীমান্তে গুলিবিনিময়ের পরে শনিবার সকাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ২০০ লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷

বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে৷ মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে সেনা সমাবেশ করার খবরের ভিত্তিতে সীমান্তে বিজিবিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ কক্সবাজার ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, ‘‘আমরা মিয়ানমারে আরাকান রাজ্যে বিদ্রোহী দমনের নামে সেনা সমাবেশ ঘটানোর খবর পেয়েছি৷ বাংলাদেশ সীমান্তেও বিজিবিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ আমরা বিজিবির অতিরিক্ত টহল বাড়িয়েছি৷''

ঘটনার সূত্রপাত

দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয় দুই দিন আগে৷ বুধবার সকালে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিজিবির সদস্যরা টহল দেওয়ার সময় সীমান্তের ওপার থেকে বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ শুরু করে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা৷ ওই গোলাগুলির পর থেকে বিজিবির নায়েক মিজানুর রহমান নিখোঁজ রয়েছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য