1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিজেপি-শাসিত কর্নাটকে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তুঙ্গে

২০ অক্টোবর ২০১০

ভারতের দক্ষিণী রাজ্য কর্নাটকে বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক ভাগ্য এখন আদালতের তৃতীয় বিচারকের হাতে৷তিনি রায়দান বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন৷

https://p.dw.com/p/Pj3x
মুখ্যমন্ত্রী বি.এস ইয়েদুরাপ্পা (মাঝে)ছবি: UNI

দলত্যাগ বিরোধী আইনে ১১জন বিজেপি বিধায়কের সদস্যপদ স্পিকার খারিজ করলে বিধায়করা তা চ্যালেঞ্জ করেন আদালতে৷ দুই বিচারপতির বেঞ্চ ভিন্ন ভিন্ন রায় দেয়ায় তা পাঠানো হয় তৃতীয় বিচারকের কাছে৷

কর্নাটকে বিজেপি সরকারের স্থায়িত্ব এখন নির্ভর করছে তৃতীয় বিচারকের রায়ের ওপর৷ তৃতীয় বিচারপতি ভি.জি সাবাহিত তাঁর রায়দান আগামীকাল পর্যন্ত স্থগিত রাখেন৷ ১১জন বিজেপি বিধায়ক দলত্যাগ করলে বিজেপি সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে এই যুক্তিতে মুখ্যমন্ত্রী বি.এস ইয়েদুরাপ্পাকে আস্থা ভোট নিতে বলেন রাজ্যপাল এইচ.আর ভরদ্বাজ৷ কিন্তু আস্থা ভোটের আগেই দলত্যাগ বিরোধি আইনে বিদ্রোহী বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ করেন বিধানসভার স্পীকার৷ তাতে জল ঢালেন রাজ্যপাল ভরদ্বাজ৷ তিনি জানান, আস্থা ভোটের নোটিশ দেবার সময় বিধানসভায় যে সদস্য সংখ্যা ছিল, আস্থা ভোটের সময়েও তা বজায় রাখতে হবে৷ এর অন্যথা হলে আস্থা ভোটের ফলাফল গ্রাহ্য হবেনা৷ ২২৪ সদস্যের বিধানসভায় আস্থা প্রমাণের জন্য বিজেপির দরকার ১১৩টি ভোট৷ কিন্তু ১১জন বিজেপি বিধায়ক এবং ৫জন নির্দল বিধায়ক সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ বেশ শক্ত হয়ে পড়ে৷ তা সত্ত্বেও ধ্বনিভোটে সরকার উতরে যায়৷ রাজ্যপাল এটাকে অসাংবিধানিক মনে করে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেন৷

ইতিমধ্যে বিধায়করা সদস্যপদ খারিজের বিষয়টি নিয়ে যান হাইকোর্টে৷ দুজন বিচারকের ডিভিশন বেঞ্চ এবিষয়ে সংবিধানের সংস্থান নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন রায় দেন৷কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কেহার সিং স্পিকারের সিদ্ধান্ত সমর্থন করলেও অন্য বিচারপতি এন.কুমার সাংবিধানিক বৈধতার প্রশ্ন তোলেন৷ ফলে বিষয়টির চুড়ান্ত রায়ের জন্য পাঠানো হয় তৃতীয় বিচারপতি ভি.জি সাবাহিতের এজলাসে৷

এদিকে অভিযোগ, আস্থাভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যে চলছে বিধায়ক বেচাকেনা৷ একদিকে (জেডি)ইউ এবং কংগ্রেস অন্যদিকে বিজেপি৷একে অপরের বিধায়ক টানতে মরিয়া৷ চলেছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পালা৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক