1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিজ্ঞানের নতুন বিস্ময়, নাম তার কোরো

৬ অক্টোবর ২০১০

সে ভাষার নাম কোরো৷ তাতে কথা বলেন মোটমাট আট থেকে বারোশো মানুষ৷ তাদের বাস অরুণাচল প্রদেশের দুর্গম অরণ্যে৷ বিজ্ঞান এতদিন এই ভাষার খবর জানতই না! খবর পেয়ে বিজ্ঞানীরা উচ্চকিত, বিস্মিতও৷

https://p.dw.com/p/PWD8
বিজ্ঞান, নতুন, অরুণাচল প্রদেশ, ভারত, ভাষা, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, National Geographic, Tibetan, Burmese, KORO, Science, Language, Science
প্রাচীন পুঁথি৷ কোরো কিন্তু আজও লেখা হয়নি৷ছবি: AP

অরুণাচল প্রদেশ৷ চীনের সীমান্তবর্তী উত্তর পূর্ব ভারতের পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা একটি রাজ্য৷ সেখানেই কয়েকশো বছর ধরে বাস করছে কিছু তিব্বতি বার্মিজ পরিবার৷ যাদের মুখের ভাষা এই কোরো৷ যে ভাষার খবর বিজ্ঞানের কাছে নতুন৷ তিব্বতি বার্মিজ গোষ্ঠীভূক্ত ভাষা হলেও এই ভাষার সঙ্গে বিজ্ঞানের জানাচেনা ভাষাগুলোর কোথাও কোন মিল নেই৷ মনে হতে পারে যেন এ ভাষা আসছে মহাকাশের অন্য কোন গ্রহ থেকে৷

তেমনই বলছেন গবেষণাকারী ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের গবেষকরা৷ তাঁরা কোরো ভাষা রেকর্ড করে বারবার চালিয়েও এমন কোন সূত্র আবিষ্কার করতে ব্যর্থ হয়েছেন, যে সূত্র কিনা চেনা ভাষাগুলোর সঙ্গে এই ভাষার কোথাও কোন মিলের সম্ভাবনা দেখাতে পারে৷ গবেষকরা বলছেন, বিশ্বে মোট ৬৯০৯ টি ভাষার সন্ধান মিলেছে এ পর্যন্ত৷ মানুষের মুখের যে ভাষাগুলির মধ্যে কোথাও না কোথাও এমন কিছু আছে যা একে অপরকে চেনাতে সাহায্য করে৷ কোরোর কিন্তু সেসব কিছুই নেই৷ এমনকি যে তিব্বতি বার্মিজ গোষ্ঠীতে এই ভাষা পড়ছে, সেই গোষ্ঠীতে কমবেশি শ'দেড়েক ভাষা আছে৷ তাদের কারও সঙ্গেও নাকি কোরোর কোনই মিল নেই৷

তবে কোরো কিন্তু অবলুপ্তির পথে৷ গবেষকরা এ ভাষার খবর পাওয়ামাত্র একে বিলুপ্তমান ভাষার তালিকায় ফেলেছেন৷ কোরো কোনদিন কাগজে বা পুঁথির পাতায়, কোথাওই লেখা হয়নি৷ ভারতের অরুণাচল প্রদেশের একটি বিশেষ গোষ্ঠীর গভীর অরণ্যবাসী একদল মানুষ মুখের ভাষা হিসেবে এই ভাষাকে ব্যবহার করে৷ তাদের মোট সংখ্যা ৮০০ থেকে ১২০০-র বেশি নয়৷

তাই কোরোর খবর জানার পর গবেষকরা এখন একে বাঁচাতেও চাইছেন বৈকি!

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা