1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিতর্কিত নির্বাচনের এক বছর পরেও ইরানে বিরোধীরা সক্রিয়

১২ জুন ২০১০

ইরানের বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রায় এক বছর পর বিরোধী নেতারা তাঁদের অনুগামীদের আবার পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তাঁদের ‘সবুজ আন্দোলন'এর কণ্ঠ এখনো রুদ্ধ করা যায় নি৷

https://p.dw.com/p/NpAI
‘সবুজ আন্দোলন’এর কণ্ঠ এখনো রুদ্ধ করা যায় নিছবি: DW-Montage/AP

গত কয়েক মাসে ইরানের বিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমে তেমন কিছু শোনা যায় নি৷ কেউ বলছে, তারা ব্যর্থ হয়েছে – অন্যরা বলছে, সরকারের কড়া দমন নীতির ফলেই তাদের নীরব থাকতে হচ্ছে৷ তবে ইরানের নোবেলজয়ী আইনজীবী শিরীন এবাদি এমনটা মনে করেন না৷ তাঁর মতে, ‘‘যাবতীয় হিংসা ও অত্যাচার সত্ত্বেও ইরানের গণতান্ত্রিক আন্দোলন এগিয়ে চলেছে৷ অনেকটা সামাজিক নেটওয়ার্কের মতো এই আন্দোলন ছড়িয়ে রয়েছে৷ এই ‘সবুজ আন্দোলন'কে কখনো ধ্বংস করা যাবে না, থামানো যাবে না৷ এই আন্দোলন প্রতিদিন উল্টে আরও ছড়িয়ে পড়ছে৷''

এক বছর আগে কঠিন পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে বিক্ষোভকারীরা এই ‘সবুজ আন্দোলন' চারিদিকে ছড়িয়ে দিয়েছিল৷ প্রথমদিকে তাদের বুলি ছিল ‘নির্বাচনের নামে প্রহসন'৷ তারপর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করলে তাদের কণ্ঠে শোনা গেল ‘সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি'র দাবি৷ তারপর আরও এক ধাপ এগিয়ে শোনা গেল নতুন স্লোগান – ‘স্বাধীনতা, মুক্তি, ইরান প্রজাতন্ত্র'৷

NO FLASH Iran Ein Jahr nach den Wahlen
এক বছর আগে মীর হুসেন মোসাভি’র সমর্থকরা চরম সাহস দেখিয়ে পথে নেমেছিলেনছবি: AP

এই সব দাবির মুখে ইরানের সরকার বিরোধী সমর্থকদের উপর অত্যাচার ও গণ হারে গ্রেপ্তারের নীতি গ্রহণ করলো৷ গোটা বিশ্বের সামনে ইরানের কারাগারে ভয়াবহ দলন, ধর্ষণ ও অন্যান্য অত্যাচারের চিত্র ফুটে উঠলো৷ ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ৮৭ বছর বয়স্ক সংস্কারপন্থী ধর্মীয় নেতা হোসেন আলি মোন্তাসেরি'র মৃত্যুর পর সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেল৷ এমনকি কয়েকজন বিক্ষোভকারী সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনেই'এর মৃত্যু কামনা করে স্লোগান দেয়৷

ইতিমধ্যে মাহমুদ আহমেদিনেজাদ'এর প্রশাসন বিরোধীদের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে৷ বিরোধীদের সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, নতুন ওয়েবসাইট মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, ফেসবুক'এর মতো মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ ফ্রান্সে বসবাসকারী নির্বাসিত ইরান বিশেষজ্ঞ দারইয়শ হোমায়ুন মনে করেন, ‘‘মীর হুসেন মোসাভি ও মেহেদি কারুবি'র মতো বিরোধী নেতার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ – সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের গুরুত্ব বেড়ে চলেছে৷ তাঁদের কণ্ঠেই বিরোধীদের বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে৷''

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম