1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশি ফ্যাশন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মিয়ানমারে

১১ অক্টোবর ২০১০

সামরিক শাসন মিয়ানমারের রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে খর্ব করতে পারলেও পারছেনা পোশাকের স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে৷ দেশটির ফ্যাশন ধারার পরিবর্তন তারই প্রমাণ দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/PbJ7
পাইপ টানছেন মিয়ানমারের এক নারীছবি: AP

গত দু'দশকের মধ্যে আগামী মাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন হতে যাচ্ছে মিয়ানমারে৷ যদিও পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবেনা এবং বেসামরিক শাসনের অন্তরালে সামরিক শাসনই বজায় থাকবে৷ কিন্তু এর প্রভাব কি পড়ছে ফ্যাশন জগতে?

মিয়ানমারে ক্রমবিকাশমান ফ্যাশন ধারণার প্রবর্তক হলেন চ্যান চ্যান ক্লেয়ার৷ এই সেলিব্রেটি যখন ইয়াঙ্গন রেস্টুরেন্টে চুমকি বসানো ছোটোখাটো পোশাক পরে টেবিলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, সবার চোখ আটকে গিয়েছিলো তাঁর উপর৷

বাইশ বছর বয়সি মডেল ও গায়িকা বাবলি৷ চলতি ফ্যাশন নিয়ে আলোচনায় বসার আগেই কোমল পানীয়ের অর্ডার দিলেন৷ বললেন, ‘‘দু:খিত, আমার দেরি হয়ে গেছে৷'' তিনি তাঁর প্রথম একক অ্যালবামের কাজ নিয়ে খুবই ব্যস্ত রয়েছেন৷ কিন্তু চ্যান চ্যান তাঁর বের করা পোশাকের মডেল হিসেবেই পরিচিত করেছেন তাঁকে৷

চ্যান চ্যান বলছেন, ‘‘ মেয়েরা স্কার্ট পরতে এখন অনেক বেশি পছন্দ করছে৷ আমরা প্রতিদিনই এদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছি এবং নতুন নতুন ফ্যাশনের খোঁজ করছি৷ এক্ষেত্রে আমরা ইন্টারনেটের সাহায্য নিচ্ছি৷ চ্যাট করছি এবং পশ্চিমা বিশ্বের ও এশিয়ার ফ্যাশনের দিকে খেয়াল রাখছি৷''

তিনি আরও বললেন, গত তিন বছরে এই ধরণের ফ্যাশনেবল পোশাক পরতে আমরা বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করছি৷ আপনি যদি ছোটোখাটো পোশাক পরেন,এখন আর কেউ আপনার দিকে তাকাবেনা৷ আসলে এখন আর এটি কোনো সমস্যাই না৷

এদিকে, সামরিক সরকারের মুখপত্র ‘নিউ লাইট অফ মিয়ানমার' পত্রিকায় অবশ্য সম্প্রতি বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সমাজ এই ধরণের পোশাক সমর্থন করেনা৷ সেখানে বলা হয়েছে, নিজ নিজ সমাজের কথা মাথায় রেখেই পোশাক পরা উচিত৷ মিয়ানমারের ঐতিহ্যগত পোশাক ‘লুঙ্গি' যা এখনও উচ্চ বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশটির বেশিরভাগ জায়গায় কর্মক্ষেত্রের পোশাক হিসেবে পরা বাধ্যতামূলক৷

গৃহবন্দি বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সুচি জনসমক্ষে উপস্থিত হবার সুযোগ পেলে দেশের সনাতন পোশাক পরেই দেখা দেন৷ ফলে দেশটির অনেক পুরুষ ও নারী এখনও সূক্ষ্ম নকশার রং বেরঙের লুঙ্গি পরতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে৷

তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে শহুরে মেয়েরা অবশ্য এই সাবেকি জাতীয় পোশাক আর পরতে চাইছে না৷ নৈতিকতা আর পরিমিতির কচকচিতে কান না দিয়ে তারা প্রথাভাঙা বিকল্পের সন্ধান করছে৷ চ্যান চ্যান বলছেন, ‘‘তারা এখন জানে আমাদের দেশ ফাশ্যনে অনেকটা এগিয়ে গেছে এবং এখন তারা শর্ট স্কার্ট পরতে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে৷ পোশাকের এই স্বাধীনতা কি তারা এখন জানে এবং তাদের আত্মবিশ্বাসও আগের চেয়ে বেড়েছে৷''

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক