1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদ্যুৎ না থাকায় জাপানের বিশাল অংশ অন্ধকারে

২২ মার্চ ২০১১

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জাপানের একটি বিশাল অংশ এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত৷ এদিকে অনেক শহরে নিহতদের প্রথানুযায়ী সৎকার না করে কেবল কবর দেওয়া হচ্ছে৷ অনেক এলাকায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে ভুগছে দুর্গত মানুষগুলো৷

https://p.dw.com/p/10eyA
ছবি: AP

ভূমিকম্প এবং সুনামি আক্রান্ত জাপানের উত্তর পূর্বাঞ্চলে এখনও দুর্যোগের বিভীষিকা কাটেনি৷ প্রতিদিনই চলছে উদ্ধারকাজ এবং দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ৷ এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় হাজারের কিছু বেশি, নিখোঁজ সাড়ে ১২ হাজারেরও ওপর৷ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বাস করছে প্রায় ৩১০,০০০ হাজার মানুষ৷

এদিকে মঙ্গলবার জাপানের একটি বিশাল এলাকাতে বিদ্যুৎ চলে গেছে৷ প্রায় এক কোটি বাড়িতে এখন বিদ্যুৎ নেই বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ডিপিএ৷ স্থানীয় সময় সকাল নয়টা ২০ মিনিটে বিদ্যুৎ চলে যায়৷ কিয়োডো বার্তা সংস্থা জানিয়েছে যে রাত ১০টা পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে পারে৷ কিয়োটো ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি জানিয়েছে যে বর্তমান উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে৷ বিশেষ করে সোমবার সরকারি ছুটি শেষে মঙ্গলবার থেকে কর্মদিবস শুরু হয়েছে জাপানে, ফলে বিদ্যুৎ এর ব্যাপক চাহিদা বেড়ে গিয়েছে৷ এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় উদ্ধার কাজ এবং নিহতদের মৃতদেহ সংরক্ষণ বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে৷

জাপানের দুর্গত অঞ্চলে উদ্ধার কাজের পাশাপাশি নিহতদের সৎকারের কাজও চলছে৷ তবে প্রথা অনুযায়ী তাদের সৎকার না করে আপাতত কবর দেওয়ার কাজ চলছে বলে জানা গেছে৷ মিয়াগি অঞ্চলের হিগাশিমাতসুশিমা শহরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা এখন পর্যন্ত এক হাজার মানুষকে কবর দেওয়ার জন্য জায়গা কিনেছে৷ তবে শহরের মেয়র হিদেও আবে জানিয়েছেন যে এটি আপাতত একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা৷ দুই বছর পর এই নিহতদের মৃতদেহ কবর থেকে তুলে প্রথানুযায়ী সৎকার করা হবে৷ উল্লেখ্য, জাপানের বেশিরভাগ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী৷

এদিকে অনেক অঞ্চলে এখন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়েছে৷ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলোর ভোগান্তি তাতে কেবল বাড়ছে৷ জানা গেছে, মোরোইকা শহরে এখন তাপমাত্রা মাইনাস দুই, অন্যদিকে সেন্দাই শহরে তাপমাত্রা মাইনাস তিন৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন