1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিবাহ বিচ্ছেদ বৈধ হতে চলেছে এবার মাল্টাতেও

৩১ মে ২০১১

মাল্টা ক্যথলিক প্রধান দেশ৷ পৃথিবীর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী দেশে বিবাহ বিচ্ছেদ মেনে নেয়া হয়নি৷ মাল্টা তাদের মধ্যে একটি৷ তবে সম্প্রতি এক গণভোটে বিবাহ বিচ্ছেদকে বৈধ হিসেবে ঘোষণা করার কথা বলা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/11Qyj
** MALTA ** People walk along Republic street, a busy shopping area, decorated for the traditional St. Domenic's feast, in Valletta, Malta, in this Aug. 25, 2003 file picture. Malta, along with nine other countries, will join the EU on May 1, 2004. (AP Photo/Lino Azzopardi)
ছবি: AP

মাল্টা, ভ্যাটিক্যান সিটি এবং ফিলিপাইন্স – এই তিনটি দেশে বিবাহ বিচ্ছেদ অবৈধ৷ তবে এই গণ্ডির মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসতে চলেছে মাল্টা৷

গত রবিবার বিবাহ বিচ্ছেদের পক্ষে এক গণভোট অনুষ্ঠিত হয় মাল্টায়৷ প্রশ্ন করা হয়, বিবাহ বিচ্ছেদকে বৈধ ঘোষণা করা হবে কি না৷ গণভোটে বৈধ করার পক্ষে ভোট পড়ে প্রায় ৫৩.২ শতাংশ৷ অর্থাৎ, এখন থেকে মাল্টায় বিবাহ বিচ্ছেদের পথে এগিয়ে যেতে পারবেন স্বামী অথবা স্ত্রী৷

মাল্টার প্রধানমন্ত্রী লরেন্স গন্জি অবশ্য বিবাহ বিচ্ছেদের বিপক্ষে প্রচারাভিযান চালিয়েছিলেন৷ তিনি জানান, এখন ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের সংসদের হাতে ক্ষমতা থাকলো একটি বিয়েকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসানের৷

গণভোটে ৫৩.৩ শতাংশ ভোট পড়লেও, প্রায় এক চতুর্থাংশ মানুষ ভোটই দেয়নি বলে জানা গেছে৷ এর আগে ২০০৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদকে বৈধ ঘোষণা করে চিলি৷ এবং তা করা হয় সাধারণ মানুষের প্রবল দাবির মুখে৷ এখব শুধু দুটি মাত্র দেশ বাকি রইল যেখানে বিবাহ বিচ্ছেদ অবৈধ৷ ভ্যাটিক্যান সিটি এবং ফিলিপাইন্স৷

মাল্টায় প্রায় তিন লক্ষ মানুষের বসবাস৷ সেখানকার মানুষকে প্রশ্ন করা হয়, যে সব স্বামী-স্ত্রী প্রায় চার বছর ধরে পৃথকভাবে বসবাস করছে, তারা এবার বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে কিনা৷ এর উত্তরে ‘হ্যাঁ' বোধক জবাব আসে অধিকাংশ ভোটাধিকারদের পক্ষ থেকে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদেশগুলোর মধ্যে প্রতিটি দেশেই বিবাহ বিচ্ছেদ বা ‘ডিভোর্স' বৈধ৷ মাল্টায় অসংখ্য স্বামী-স্ত্রী পৃথকভাবে বসবাস করছে৷ তাতে কোন সমস্যা ছিল না৷ কিন্তু দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে গেলে দেশের আইন তা এতদিন পর্যন্ত সমর্থন করত না৷ এ অবস্থার পরিবর্তন আনতেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো৷

এরপরেও অবশ্য রাজধানী ভ্যালেটার আর্চবিশপ পল ক্রেমোনা এই গণভোটের বিরোধীতা করে বলেন, এই গণভোট হয় মানুষকে ধ্বংস করবে নয়তো নতুন করে সৃষ্টি করবে৷ সারাজীবন একজন সঙ্গীর সঙ্গে থাকার যে বাসনা বা প্রতিজ্ঞা করা হয়, পরিবার গড়ে তোলার যে স্বপ্ন দেখা হয়, তা ভঙ্গ করা হয়েছে এই গণভোটের মাধ্যমে৷ ভালবাসাকে অপমান করেছে এই গণভোট, বলেন তিনি৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ