1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশপ মিক্সা’র পদত্যাগ গৃহীত

৯ মে ২০১০

শিশুদের মারধর, এমনকি এক কিশোরের উপর যৌন নিগ্রহের দায় মাথায় নিয়ে আউগসবুর্গের বিশপ ভাল্টার মিক্সা’কে বিদায় নিতে হল৷ শনিবার পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট তাঁর পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন৷

https://p.dw.com/p/NJcY
বিশপ ভাল্টার মিক্সাছবি: picture-alliance/ dpa

কয়েক সপ্তাহ আগের কথা৷ তখন প্রশ্ন ছিল, বিশপ মিক্সা শ্রোবেনহাউজেনের অনাথাশ্রমের শিশুদের মারধর করেছিলেন কিনা৷ তা'তেই জার্মান বিশপ সম্মেলনের অবকাশে এ-ধরণের মন্তব্য শোনা গিয়েছিল: ‘ক্যাথলিক গির্জার এখানেই ইতি৷' এখন সেই কেলেঙ্কারি আরো অনেক দূর গড়িয়েছে৷

মিক্সা যে শিশুদের মারধর করা ব্যাপারটা সম্পর্কেই একটা অস্পষ্ট ধারণায় ভোগেন, ঐ অনাথাশ্রমের টাকাপয়সা নিয়ে কি ঘটেছে, সে-ব্যাপারেও যেমন তাঁর স্মৃতিভ্রম, সেরকম যদি যৌন নিগ্রহের ক্ষেত্রেও হয়, তাহলে সত্যিই জার্মানির ক্যাথলিক গির্জা এক বিপুল সঙ্কটের মুখে৷ কেননা জনসাধারণের তরফ থেকে আসবে প্রশ্নের পর প্রশ্ন: মিক্সার বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের সন্দেহ দেখা দেয় কবে? এতদিন তা নিয়ে কিছু একটা করা হয়নি কেন? এ-ধরণের একটি চরিত্রের পক্ষে ক্যাথলিক গির্জার বিশপ হওয়াটা কিভাবে সম্ভব? এ-ধরণের একটি মানুষ স্বয়ং পোপের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হতে পারেন কিভাবে? তাঁর গির্জা এলাকার কর্তৃপক্ষ, অথবা অন্যান্য বিশপরা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি কেন? মানুষ ক্যাথলিক গির্জায় আর কা'কে বিশ্বাস করবে? কে এই গির্জাকে নেতৃত্ব দিচ্ছে? দায়িত্ব কার এবং কে সেই দায়িত্ব নেবে?

ক্যাথলিক গির্জা যেন আজ তথাকথিত ‘ব্ল্যাক হোল'-এর উপকণ্ঠে দাঁড়িয়ে৷ অথবা এক ধরণের নৈতিক চেরনোবিল'এর কথাও শোনা যাচ্ছে৷ রেগেন্সবুর্গের বিশপ গেরহার্ড লুডভিশ ম্যুলার যখন বলেছিলেন যে, পোপ এবং গির্জার বিরুদ্ধে যেন নাৎসি আমলের অপপ্রচার চলেছে, তখন আবার ব্যামবার্গের আর্চবিশপ লুডভিশ শিক'এর মতো কর্মকর্তারাও আছেন - এটাই যা আশা৷ শিক ‘‘ডের স্পিগেল'' পত্রিকার একটি সাক্ষাতকারে ক্যাথলিক যাজকদের ব্রহ্মচর্য ব্রত নিয়ে মুক্ত আলোচনার দাবী তুলেছেন৷ এবং সত্যিই এখন ক্যাথলিক গির্জা কর্তৃপক্ষের উচিৎ, যাজকদের ভাবমূর্তি, মানব-মানবীর যৌন সম্পর্ক সম্বন্ধে গির্জার নীতি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনার সুযোগ দেওয়া - এবং শিশুদের যৌন নিগ্রহ ইত্যাদি অপ্রীতিকর ঘটনার ক্ষেত্রেও অনুরূপ উন্মুক্ততা প্রদর্শন করা৷ ধর্মতত্ত্বকে বাস্তব থেকে পৃথক রাখা বোধহয় আর গির্জার পক্ষেও সম্ভব হবে না৷

প্রতিবেদক: ইয়র্গ ফিন্স, অনুবাদ: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়