1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপের সময় ছিল জুয়াড়িদের রমরমা

১৮ জুলাই ২০১০

বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর শেষ হয়ে গেছে বটে, কিন্তু ফুটবল ভক্তদের নির্ভেজাল আনন্দের পাশাপাশি জুয়াড়িরাও কীভাবে এই প্রতিযোগিতাকে কাজে লাগিয়েছে, তার একটা ভয়াবহ চিত্র ক্রমশঃ স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷

https://p.dw.com/p/OOKP
বিশ্বকাপের উত্তেজনাকে জুয়াখেলার কাজে লাগিয়েছে বিশাল অপরাধ চক্রছবি: picture-alliance / Sven Simon

বিশ্বকাপ চলাকালীন এশিয়ার একটা বড় অংশ জুড়ে জুয়াড়িদের বে-আইনী কার্যকলাপের কাঠামো সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে৷ মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও চীনের পুলিশ ইন্টারপোলের সমন্বয়ে ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই দুষ্টচক্রের হদিস পেয়েছে৷ এই অভিযানে প্রায় ৮০০ বে-আইনী জুয়াখানায় তল্লাশী চালিয়ে ৫,০০০-এরও বেশি দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ জানা গেছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন সাড়ে পনেরো কোটি ডলারেরও বেশি অঙ্কের অর্থ নিয়ে জুয়া খেলা হয়েছে এই সব জুয়াখানায়৷

Miniaturfußball auf Geldscheinen
ফুটবল জগতে এখন বৈধ ও অবৈধ পথে অর্থের বিশাল রমরমাছবি: picture-alliance/chromorange

জুয়াড়িদের এই তৎপরতা মোটেই বিচ্ছিন্ন কোনো উদ্যোগ ছিল না বলে মনে করছেন ইন্টারপোল কর্মকর্তা জঁ মিশেল লুবুত্যাঁ৷ সংগঠিত অপরাধ চক্র, দুর্নীতি, বে-আইনী আর্থিক লেনদেন এবং পতিতাবৃত্তির সঙ্গেও এই জুয়া চক্রের যোগসূত্র পাওয়া গেছে৷ জুয়াখানার দালালরা এমনকি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন আদায় করেছে৷ ম্যাচের আগে তাদের মাধ্যমে অত্যন্ত সহজে জুয়া খেলার ব্যবস্থা চালু ছিল৷ এমনকি ধারেও জুয়া খেলার বন্দোবস্ত রাখা হয়েছিল৷ তবে সময়মতো টাকা দিতে না পারলে চরম শাস্তির ভয়েও কাঁপতে হয়েছে৷ ক্রাইম গ্যাং সেই শাস্তির দায়িত্ব নিয়েছে৷ হংকং ও ম্যাকাও-এর মত এলাকায় তাদের প্রতিপত্তি যথেষ্ট বেশি৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: জাহিদুল হক