1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপে নতুন হুমকি

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

বিক্ষোভ, স্টেডিয়াম নির্মাণ নিয়ে জটিলতা, অতিরিক্ত ব্যয় – ব্রাজিল বিশ্বকাপের এ সব ইস্যু নিয়ে এমনিতেই নাজেহাল কর্তৃপক্ষ৷ এর মধ্যে নতুন করে আর এক হুমকি উপস্থিত হয়েছে৷ আর তা হলো ‘সাইবার হামলা'৷

https://p.dw.com/p/1BH5Q
ছবি: Getty Images

ব্রাজিল এমন একটি দেশ যেখানে অনলাইন অপরাধ মাত্রাতিরিক্ত, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ, সেখানে হ্যাকারদের হাত থেকে ওয়েবসাইট বাঁচাতে মরিয়া কর্তৃপক্ষ৷ সরকারি ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ফিফার ওয়েবসাইট রক্ষা করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের৷

বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ এ তহবিল জনগণের অর্থ থেকে গঠিত হয়েছে, ফলে জনগণের পরিবহণ এবং অন্যান্য খাতে সুবিধা কমিয়ে দেয়া হয়েছে৷ এ নিয়েই গত বছরের জুন থেকে ব্রাজিল জুড়ে চলছে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ৷ এই প্রতিবাদে এবার যোগ দিল হ্যাকাররা৷

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হ্যাকারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘অ্যানোনিমাস'-এর সঙ্গে নাকি সংশ্লিষ্টতা আছে ফিফা বিশ্বকাপের উপর সাইবার আক্রমণের হুমকি দেওয়া ব্রাজিলের হ্যাকারদের৷ ব্রাজিলের একাধিক হ্যাকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে হুমকির সত্যতাও নিশ্চিত করেছে রয়টার্স৷ কয়েকজন হ্যাকারের সাথে কথা বলেছে তারা৷ একজন হ্যাকার জানিয়েছেন, ‘‘আমরা পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছি৷ আমার মনে হয় না যে, আমাদের রুখতে তারা বেশি কিছু করতে পারবে৷''

রয়টার্স এই হ্যাকারসহ আরো কিছু হ্যাকারদের নেটওয়ার্ক থেকে পরিচিতি বের করতে সমর্থ হয়েছে৷ তবে তাঁদের প্রকৃত পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারেনি৷

Symbolbild Sicherheit im Internet
বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারছবি: picture-alliance/dpa

তারা জানিয়েছে, ‘‘বিশ্বকাপ এমন একটা আয়োজন, যেখানে বিশ্বের সব প্রান্তের দর্শক উপস্থিত থাকবেন আর বিশ্ববাসীর সম্মুখে ফিফা, ব্রাজিল সরকার এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর একসঙ্গে সাইবার আক্রমণ চালানোর এটাই সুবর্ণ সুযোগ৷'' তবে ব্রাজিলের সাধারণ নাগরিক ঐ সাইবার আক্রমণের শিকার হবেন না বলে দাবি করেছে তারা৷

আগামী ১২ই জুন থেকে ১৩ই জুলাই পর্যন্ত ব্রাজিলে মোট ১২টি ভেন্যুতে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে৷ পাইরেটেড সফটওয়্যার, অনলাইন নিরাপত্তায় কম বিনিয়োগ-নেটওয়ার্কের নিরাপত্তায় এমনিতেই সমস্যা তৈরি করেছে৷ এরই মধ্যে টিকেট বিক্রি এবং বিশ্বকাপ সংক্রান্ত অন্যান্য ব্যবসায় অনলাইন অপরাধ বেড়ে গিয়েছে৷

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম বিয়ার জানান, ‘‘বিশ্বকাপকে লক্ষ্য করেই যে এটা হচ্ছে এটা নিশ্চিত, কিন্তু প্রশ্ন হলো কখন তাঁরা এটা করবে? তাই এখনই এটার প্রতিরোধ করা এবং পদক্ষেপ নেয়া উচিত৷''

ব্রাজিলের সেনাবাহিনীর সাইবার কমান্ড এর প্রধান জেনারেল হোসে কার্লোস জোদ সান্টোস বলেছেন, যে কোনো দেশের জন্যই এটা বলা সম্ভব নয় যে এই হুমকি মোকাবিলায় তারা একশ ভাগ প্রস্তুত৷ তবে ব্রাজিল এরই মধ্যে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে৷ তবে ফিফার এক মুখপাত্রকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি৷

সম্প্রতি কয়েকটি বছরে ব্রাজিলের বড় কয়েকটি ইভেন্টে বেশ কিছু অনলাইন নিরাপত্তা লঙ্ঘণের ঘটনা ঘটেছে৷ ২০১২ সালে রিও ডি জেনিরোতে জাতিসংঘ সম্মেলনের সময় সাইবার কমান্ড ১৪০টি নিরাপত্তা লঙ্ঘণের চেষ্টার কথা জানান৷ আর গত বছরের কনফেডারেশন্স কাপে এই সংখ্যাটা ৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল৷

সান্টোস বলেন, তাদের ধারণা বিশ্বকাপে হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য আরো বাড়বে এবং হয়ত ২০১৬ সালে অলিম্পিকের সময় তারচেয়েও বেশি হবে৷

রিও অলিম্পিকের তথ্য প্রযুক্তি নেটওয়ার্কের দায়িত্বে থাকা ফরাসি কোম্পানি ‘আটোস' জানায়, ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে তারা ২৫ কোটি ৫০ লাখ সিকিউরিটি ইভেন্ট ধরতে পেরেছে৷ এই দলের প্রধান মিশেল হিরন বললেন, এটা আসলেই বিশাল একটা সংখ্যা, কিন্তু এটা খেলায় কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি৷ তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বিশ্বকাপের টিকেটের ব্যাপক চাহিদা থাকায় অনলাইন অপরাধীরা বিভিন্ন বিক্রেতার ওয়েবসাইট হ্যাক করে অনলাইন টিকেটগুলো হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টায় আছে৷

এপিবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য