1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপে নিরাপত্তা দিতে বেসরকারী সংস্থাগুলো তৎপর

২৭ মে ২০১০

বিশ্বকাপ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা উত্তেজনায় ফুটছে৷ জোহানেসবার্গে বেসরকারী নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দায়িত্ব বেড়ে চলেছে৷ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তারা পুলিশ সহ লাখ লাখ মানুষকে পাহারা দিচ্ছে প্রতিদিন৷

https://p.dw.com/p/NYEd
শুধু পুলিশ নয় – প্রয়োজন পড়ছে বেসরকারী সংস্থারওছবি: picture alliance/dpa

বেসরকারী নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রতিদিন বিদেশী ফুটবল ফ্যান, গণমাধ্যম কর্মী এবং পুলিশ সহ দক্ষিণ আফ্রিকার লাখ লাখ মানুষকে পাহারা দিচ্ছে৷ এর আগে রাগবি ও ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করলেও আফ্রিকা মহাদেশের এই প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা৷ বিশ্বে অপরাধ সংগঠনের সর্বোচ্চ হার দক্ষিণ আফ্রিকায়৷ তারপরও বিশ্বকাপের মত এই বিশাল আয়োজন নিরাপদেই সারতে পারবে – দক্ষিণ আফ্রিকা এই নিশ্চয়তা বিশ্ববাসীকে আবারও দেওয়ার চেষ্টা করছে৷

দক্ষিণ আফ্রিকা যে ভালোভাবেই বিশ্বকাপের আয়োজন করতে পারবে তার প্রমাণ দিতেই ব্যবস্থাপকরা ৪১টি সফল আয়োজনের দিকে নজর দেওয়ার অনুরোধ করেছেন৷ ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশটিতে এই বড় ধরনের আয়োজনগুলো হয়েছিল৷ আয়োজকরা ক্রিকেট এবং রাগবির দুটি বিশ্বকাপের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন৷ একই সঙ্গে তারা বলেছেন, যে নব্বই লাখ মানুষ প্রতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করছেন৷ কোন বড় ধরনের অপরাধ তাদেরকে আক্রান্ত করেনি৷

দেশটির জাতীয় পুলিশ কমিশনার ভেকি সেলে আস্থার সঙ্গে বলেছেন, আকাশ, পানি অথবা মাটিতে যে কোন ধরনের আয়োজন করতে আমরা প্রস্তুত৷ তবে বিদেশী খেলোয়াড়রা এই ব্যাপারে সন্দিগ্ধ৷ এদিকে দেশটিতে গত বছরও প্রতিদিন হত্যার যে গড় হার ছিল, এখনও তা ৫০ই রয়েছে, অর্থাৎ তা অপরিবর্তিতই রয়েছে৷ একইসঙ্গে গাড়ি ছিনতাই এবং যৌন অপরাধ অব্যাহত রয়েছে৷

দক্ষিণ আফ্রিকায় দৈনিক প্রায় ৩০০ ইউরোর বিনিময়ে যে কেউ দেহরক্ষী পেতে পারেন৷ যাদের এই সামর্থ্য আছে, তারা যেকোন কিছু প্রতিরোধে বেসরকারী রক্ষীর সহায়তা নিতে পারেন৷ দক্ষিণ আফ্রিকার শীর্ষ ভিআইপি প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর একটি নিকোলস স্টাইন এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েটস৷ সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা বব নিকোলস জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ-কে বলেন, আমরা এমন একটা পর্যায়ে রয়েছি, যেখান থেকে ক্লায়েন্ট টেনে নিয়ে আসতে পারি৷ তিনি বলেন, কিছু ক্লায়েন্ট রয়েছেন. যারা বুলেটপ্রুফ এবং ছুরিকাঘাত প্রুফ জ্যাকেট চেয়ে থাকেন৷ আবার কিছু ক্লায়েন্ট নিরাপত্তা রক্ষায় সাঁজোয়া গাড়িও দাবি করেন৷ তবে তাদের কথা ভিন্ন, বলেন নিকোলস৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন