1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপ নিয়ে মেতেছে বাঙালিও

৩ জুন ২০১০

বিশ্ব ফুটবলে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫৭, কিন্তু বিশ্বকাপ নিয়ে বাঙালির মাতামাতি দেখলে তা কে বলবে ! আকাশ থেকে কেউ যদি এখন বাংলাদেশের কোন এলাকার দিকে তাকায় তাহলে মনে হবে দেশটি এখন আর্জেন্টিনা নয়তো ব্রাজিলের৷

https://p.dw.com/p/NgKX
বিশ্বকাপ যেন বাঙালির দৈনন্দীন জীবনে এক নতুন উত্তেজনা নিয়ে এসেছেছবি: AP

মনে হবেই না বা কেন ? বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো বাড়ির ছাদই যে এখন ছেয়ে আছে নীল-সাদা নয়তো হলুদ-সবুজ পতাকায়৷ আবেগী বাঙালি নিজের পতাকা ওড়াতে ভুলে গেলেও বিশ্বকাপে তার প্রিয় দলের পতাকাটি ওড়াতে ঠিকই ভোলে না৷ আর্জেন্টিনা নাকি ব্রাজিল, এই রেষারেষি এখন কেবল ক্লাব কিংবা পাড়া মহল্লাতে নয়, ঘরের খাবার টেবিলে পর্যন্ত গড়িয়েছে৷ কখনো কখনো সেটা দেখা যায় স্বামী স্ত্রীর ঝগড়াতেও৷ এক মাসের এই বিশ্বকাপ জ্বরই পারে বাংলাদেশের মানুষকে তাদের দুঃখ বেদনাকে দুরে সরিয়ে রাখতে, অনেক না পাওয়ার অভাবকে ভুলে থাকতে৷ আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের এই ঠেলাতে পড়ে বিশ্বের আর সব শক্তিশালী দেশগুলো পাত্তা পায় না তৃতীয় বিশ্বের এই দেশটিতে৷ গুটিকয়েক ইটালি, জার্মানি কিংবা ইংল্যান্ডের সমর্থকদের হয়তো দেখা যায়, কিন্তু সেটা শুধু নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ৷

যা-ই হোক, ফুটবল বিশ্বকাপ যেমন বাঙ্গালির দৈনন্দীন জীবনে এক নতুন উত্তেজনা নিয়ে এসেছে, তেমনি অনেকের ব্যবসাতেও এখন পোয়া বারো৷ যেমন ফতুল্লার একটি তৈরি পোশাক কারখানার মালিক আবদুল কাহহার বললেন, বিশ্ব আর্থিক মন্দার কারণে গত কয়েকমাস ধরে আমাদের ব্যবসায় মন্দা চলছে৷ কিন্তু গত দুই সপ্তাহে আমাকে আরও ৫০ জন শ্রমিক খাটাতে হয়েছে কেবল পতাকা সেলাইয়ের কাজে৷ আগামী মাসে আমি শ্রমিকদের ঠিকমত বেতন দিতে পারবো৷ ঢাকার ছোট একটি দোকানের বিক্রেতা ফয়েজ আহমেদ টিটু জানান, যে গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি প্রতিদিন দুই হাজার পতাকা বিক্রি করছেন৷ এজন্য তাকে এক ডজন বাড়তি লোক ভাড়া করতে হয়েছে৷

আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল নিয়ে বাঙালির এই আবেগের কারণ কি? ক্রীড়া লেখক মোতাহার হোসাইন মাসুম বলেলেন, ১৯৮২ সাল থেকে প্রথম টিভিতে বিশ্বকাপের খেলা দেখানো শুরু হয়৷ তখনই ব্রাজিলীয় ফুটবলের সৌন্দর্য সকলের মন কেড়ে নেয়৷ চার বছর পর আর্জেন্টিনার মারাদোনা ভেল্কি দেখান৷ এর পর থেকে সমর্থকরা এই দুটি দেশকেই তাদের মনে জায়গা দিয়েছে৷

প্রতিবেদন : রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ