1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বব্যাপী খাদ্যমূল্যের ব্যাপক বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১

বিশ্বে খাবারের দাম হুহু করে বাড়ছে৷ আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল এই পরিস্থিতিকে সামাজিক এক বিস্ফোরণ হিসেবে দেখছে৷ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আগে বাংলাদেশের বড় বড় শহরকে ভিক্ষুকমুক্ত করার অভিযান৷ জার্মান পত্রিকায় এ নিয়েই আলোচনা৷

https://p.dw.com/p/10Bc7
Bangladeshi, farmar, plants, rice, saplings, paddy, field, Demra, Dhaka, city,
ধান বুনছেন বাংলার কৃষকছবি: dpa

খাবারদাবারের মাত্রাধিক ঊর্ধমূল্যের ফলে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশগুলিতে অসন্তোষ আর উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হবার ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছে দৈনিক ফাইনান্সিয়াল টাইমস ডয়েচলান্ড৷ ভারতের মত একটি দেশ, যেখানে ৪১ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে এবং পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের প্রায় অর্ধেকই যেখানে অপুষ্টিতে ভোগে, তার ওপর আঘাতটা পড়তে পারে বিশেষ জোরে, মনে করে এই পত্রিকা৷ পত্রিকা লিখছে:

পেঁয়াজের দাম বেড়ে বলতে গেলে বিস্ফোরক আকার নিয়েছে৷ গত জুন মাসের পর থেকে দাম বেড়েচে প্রায় পাঁচগুন... দরিদ্রতম মানুষরা খাবারের জন্য আয়ের ৮০ শতাংশই ব্যয় করছে৷ দাম যদি মাত্র কয়েক শতাংশ বাড়ে তাহলেও তাদের ক্ষুধার্ত থাকতে হয়৷ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর জন্য এই মূল্যস্ফীতি বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলির একটি৷ ভারত সরকার এই সমস্যার মোকাবিলা করতে সচেষ্ট৷ বেআইনিভাবে মজুদ করা খাদ্যসামগ্রীর খোঁজ পেতে পুলিশ সব্জি ব্যবসায়ীদের গুদামে তল্লাশি চালাচ্ছে৷ রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি পাওয়া দোকানগুলিতে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে বাজারের অর্ধেক দামে৷ সরকার টনপ্রতি সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য ১৫০ ডলারে বেঁধে দিয়ে কার্যত রপ্তানির পথ বন্ধ করে দিয়েছে৷ এই পদক্ষেপের সুফল যে ফলছে তার চিহ্ন ইতিমধ্যে স্পষ্ট৷

১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ এপ্রিল বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ, ভারত আর শ্রীলংকায়৷ তার আগে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বড় বড় শহরগুলোর রাস্তাঘাট ভিক্ষুকমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে৷ এ প্রসঙ্গে দৈনিক ‘ডি ভেল্ট' পত্রিকা লিখছে, ঢাকা সরকার চায় এই বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময় দলে দলে উপস্থিত হোক ক্রীড়ামোদী ট্যুরিস্টরা - যারা কিনা নিয়ে আসবে বৈদেশিক মুদ্রা৷ ‘ডি ভেল্ট' লিখছে:

ভিক্ষুকদের সাময়িকভাবে সরিয়ে নেয়া হবে রাষ্ট্রীয় আশ্রয়কেন্দ্রে৷ টুর্নামেন্ট শেষ হওয়া পর্যন্ত সেখানেই তাদের রাখা হবে৷ বন্দরনগরী চট্টগ্রাম আবার পুরোপুরি নিজস্ব এক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে৷ মেয়র ঘোষণা করেছেন, আর্থিক ক্ষতি লাঘব করতে প্রায় ৩০০ প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে কর্তৃপক্ষ দৈনিক দেড় ইউরোর সমপরিমাণ টাকা দিতে চায়৷ কিন্তু সারা বাংলাদেশে প্রায় সাত লক্ষ মানুষ ভিক্ষা করে জীবন চালায়৷ এবং এদের বেশির ভাগই শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী৷ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রামেও বহু মানুষ রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে বেড়ায়৷ মেয়র প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যে ৩০০ ভিক্ষাজীবীকে অর্থ দেয়া হবে, তাদের পরে স্থায়ীভাবে ‘পুনর্বাসিত' করা হবে৷ কোন নিক্তিতে মেপে এই ৩০০ ভাগ্যবানকে নির্বাচিত করা হবে, তা কিন্তু স্পষ্ট নয়৷

ভাষান্তর: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন