1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বের বৃহত্তম থ্রি-ডি প্রিন্টার বানায় যারা

সনিয়া শক/এসি১২ জুলাই ২০১৪

হাতে লেখা, টাইপ করা শেষ হয়ে এসেছে লেজার প্রিন্টারের যুগ৷ কিন্তু থ্রি-ডি, অর্থাৎ ত্রিমাত্রিক প্রিন্টার? যাতে লেখা বা ছবির বদলে ত্রিমাত্রিক বস্তুর প্লাস্টিক কপি তৈরি করা যায়? জার্মান এক কোম্পানি সেই প্রিন্টার তৈরি করে৷

https://p.dw.com/p/1Caxn
ছবি: Getty Images

একটি থ্রি-ডি প্রিন্টার চালানো খুব সোজা কাজ নয়, বিশেষজ্ঞদের জন্যেও নয়৷ প্লাগ-ইন করলেই কাজ শুরু করবে, সে পর্যায়ে পৌঁছাতে এখনও অনেক বাকি৷ তবে জার্মান রেপ ব়্যাপ কোম্পানিতে ঠিক সেই প্রচেষ্টাই চলেছে৷ কোম্পানির কর্মীরা এ বিষয়ে নিশ্চিত যে, থ্রি-ডি প্রিন্টার চালানোটা শিগগিরই খুব সহজ কাজ হয়ে উঠবে৷

জেনারেল ম্যানেজার ফ্লোরিয়ান বাউৎস বলেন: ‘‘আজকের তরুণরা, যাদের বাড়িতে এই মেশিন থাকবে, তারা নিজেরাই জানবে, এ দিয়ে কী করা যায়, তারা এই মেশিন নিয়ে কী করবে৷ তারা হয়ত ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন জিনিস ডাউনলোড করবে: দাঁতের ব্রাশ রাখার গ্লাস; দাঁতের মাজনের টিউব রাখার কেস; রুটি কাটার মেশিনের করাত; বাড়িতে আর যা কিছু ভেঙে গিয়েছে অথবা সারানো দরকার৷''

বিশ্বের বৃহত্তম থ্রি-ডি প্রিন্টার বানায় যারা

ভেঙে গেছে? ‘ছাপিয়ে' নিন!

এখনই ইন্টারনেটে ‘থিনজিভার্স' ওয়েবসাইটটিতে বিনামূল্যে ডাউনলোড করার জন্য বেশ কয়েক হাজার ডিজাইন আছে৷ ইন্টারনেটে থ্রি-ডি ডিজাইন প্রোগ্রামও পাওয়া যায়৷ একটু প্র্যাকটিস থাকলে সেই প্রোগ্রাম দিয়ে নানা ধরনের প্লাস্টিক পার্টস তৈরি করা যায় – অর্থাৎ ‘ছাপা' যায়৷ এই স্টার্ট-আপ কোম্পানির কর্মীরা বাড়িতে তাদের অবসর সময়েও নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান; নিজেদের থ্রি-ডি প্রিন্টার থেকে বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশীদের জন্যে বাড়ির এটা-সেটা বা খেলনার ভেঙে বা হারিয়ে যাওয়া পার্টস তৈরি করে দেন৷

প্রিসিশান ইঞ্জিনিয়ার ডিটার হুন্ড বলেন: ‘‘গ্রীষ্মকালে প্রায়ই দেখা যায়, স্কুলের ছেলেপিলেরা আমাদের বসবার ঘরের জানলায় ভিড় করে দেখছে, কীভাবে টেবিলের ওপর রাখা মেশিনে একটার পর একটা জিনিস তৈরি হচ্ছে৷''

বিশ্বের বৃহত্তম থ্রি-ডি প্রিন্টার

এ ধরনের প্রিন্টার কিন্তু আর-অ্যান্ড-ডি ডিপার্টমেন্ট, স্থপতি অথবা বিজ্ঞানীদের কাছে খুবই লোভনীয়, কেননা এভাবে সস্তায়, চটজলদি নানা মডেল ও প্রোটোটাইপ তৈরি করা চলে৷ বড় ইন্ডাস্ট্রি প্রিন্টারটির দাম ৬,০০০ ইউরো; এক কিলো প্লাস্টিকের দাম পড়ে ৩০ ইউরো৷ সে তুলনায় সিলেক্টিভ লেজার সিন্টারিং-এর খরচা অনেক বেশি৷

বাভারিয়ার এই পথিকৃৎরা দামের হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম থ্রি-ডি প্রিন্টার তৈরি করেছেন৷ ইতিমধ্যে বড় বড় কোম্পানিরাও তাদের কাছ থেকে এই মেশিন কেনে৷ জেনারেল ম্যানেজার ফ্লোরিয়ান বাউৎস বলেন: ‘‘আমাদের কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতার মাথায় প্রথম আইডিয়াটা আসে৷ আমি গোড়ায় বলেছিলাম, অতো বড় প্রিন্টারের কারো প্রয়োজন পড়তে পারে না৷ কিন্তু ধীরে ধীরে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি: ওটাই হলো সঠিক পথ৷''

গ্রাহকদের থ্রি-ডি প্রিন্টার পাবার জন্যে মোট তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়৷ প্রথমে পুরো দামটা ট্রান্সফার করতে হবে, কেননা রেপ-ব়্যাপের ২৬ বছর বয়সি প্রতিষ্ঠাতা তাঁর কোম্পানিকে ধীরে ধীরে বাড়াতে চান – এবং তা ব্যাংক লোন ছাড়াই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য