বিহার বিধানসভার প্রথম দফার ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণ
২১ অক্টোবর ২০১০বিহার বিধানসভার মোট ২৪৩টি আসনের মধ্যে প্রথম দফায় ভোট হয়েছে আটটি জেলার ৪৭টি আসনে৷ ৪৭টি আসনের মোট ভোটার সংখ্যা এক কোটি ৬০ লাখ৷ কিন্ত ভোট পড়ে মাত্র ৫২ থেকে ৫৫ শতাংশ৷ কঠোর নিরাপত্তায় ভোট হয় মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে৷ কয়েকটি বুথের ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন কাজ করেনি বলে অভিযোগ ওঠে৷ কিছু কিছু এলাকায় অবশ্য প্রতিদ্বন্দ্বী দলের সমর্থকদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ গ্রেপ্তার করা হয় ১৫০জনকে৷ ৮৫ শতাংশ ভোট কেন্দ্রে মোতায়েন ছিল আধা সামরিক বাহিনী৷ নজর রাখতে ব্যবহার করা হয় হেলিকপ্টার৷ কিছু কিছু কেন্দ্র নেপাল সীমান্তের কাছে হওয়ায় সীল করে দেয়া হয় নেপালের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত৷ এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ,উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খন্ডের সঙ্গেও আন্ত:রাজ্য সীমা সীল করা হয়৷
বিহার বিধানসভার ভোট হবে ৬-দফায়৷ চলবে ২০শে নভেম্বর পর্যন্ত৷ ভোট গণনা ২৪শে নভেম্বর৷ প্রধান নির্বাচনী ইস্যু উন্নয়ন বনাম জাতপাত৷ উন্নয়ন হয়নি বলে কয়েকটি গ্রামে ভোট বয়কট করেন ভোটাররা৷ যদিও ক্ষমতাসীন সংযুক্ত জনতা দল ও বিজেপি জোটের দাবি উন্নয়নই তাদের প্রধান হাতিয়ার৷ সংযুক্ত জনতা দল প্রার্থী দিয়েছে ২৬টি আসনে আর বিজেপি দিয়েছে ২১টি আসনে৷ কংগ্রেস ও বহুজন সমাজ পার্টি প্রার্থী দেয় ৪৭টি আসনেই৷ তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলের সঙ্গে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদের আরজেডি দলের৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, লালু প্রসাদ এবং লোকজন শক্তি পার্টির রামবিলাস পাশোয়ান জাতপাতের দোহাই দিয়ে ভোট টানার চেষ্টা করতে পারেন৷ বিহারে থাবা বসাতে কংগ্রেস তুলে ধরছে সুশাসনকে৷ বেশিরভাগ লোকের ধারণা বিহারে উন্নয়ন ও সুশাসন দুটোরই যথেষ্ট অভাব৷
মোটকথা, বিহারে নির্বাচনী রাজনীতি এক জটিল সমীকরণ৷ মনে করা হয়, বিহারে জাতপাত ও সাম্প্রদায়িকতা ভোটারদের টানে বেশি৷ যেমন রামবিলাস পাশোয়ানের লোকজন শক্তি পার্টির লক্ষ্য দলিত ভোট৷ তবে বহুমুখী এই ভোট যুদ্ধের ফলাফল যে-কোন হিসেবকে উল্টে দিতে পারে৷ উন্নয়নী মন্ত্রে ভোটাররা কতটা প্রভাবিত হয় সেটাই এখন দেখার৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক