1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বীটলসদের লিভারপুল মাত করল ‘‘বিবার ম্যানিয়া’’

১৩ মার্চ ২০১১

১৭ বছর বয়সের একটি ক্যানেডীয় ছেলে খোদ লিভারপুলে ‘ফ্যাব ফোর’ জন-পল-জর্জ-রিঙ্গো’কে যেন মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিল৷ কিশোরীরা এবার যার দর্শন পেতে আকুল, তার নাম জাস্টিন বিবার৷

https://p.dw.com/p/10YIr
জাস্টিন বিবারকে দেখে এরকমই আকুল হয় কিশোরীরাছবি: AP

জাস্টিন আবার ছিল ঠিক সেই বীটলসদের ‘হার্ড ডে'জ নাইট' খ্যাত হোটেলটিতে৷ বাইরে ত্রয়োদশী, পঞ্চদশীদের ভিড়, আকুল চেঁচামেচি, এমনকি মূর্ছা৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশকে খবর দিতে বাধ্য হয় হোটেলের কর্মীরা৷ পুলিশ এসে লিভারপুলের কেন্দ্রে ঐ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে যানচলাচল বন্ধ করে৷ ঘণ্টা ছয়েক পরে সেই রাস্তা আবার খুলে দেওয়া হয়৷

নির্দোষ দেবশিশুর মুখাবয়বের টিনেজ পপ সেন্সেশন জাস্টিন বিবার স্বভাবতই টুইটার করে তার ফ্যানদের জানিয়েছে: ‘‘পাগল পরিস্থিতি৷ বাইরে হাজার হাজার মানুষ৷ সকলকেই ভালোবাসি কিন্তু এখন একটু ঘুমোবার চেষ্টা করব৷ চেঁচিও না প্লিজ৷ অনেক, অনেক ভালোবাসা৷'' - বিবারের আসলে শুক্রবার লিভারপুল একো এ্যারেনা'তে গান গাওয়ার কথা ছিল৷

Flash-Galerie John Lennon
বীটলস চিরদিনের৷ বাঁদিক থেকে পল ম্যাককার্টনি, রিঙ্গো স্টার, জর্জ হ্যরিসন আর জন লেনন৷ছবি: picture alliance/dpa

কিন্তু আমার মতো যারা একেবারে প্রথম প্রহরের বীটলস ফ্যান, তাদের আঁতে লেগেছে বৈকি৷ বীটলসদের ‘হার্ড ডে'জ নাইট' ছবির উপজীব্যই তো হল ঐ চেঁচামেচি করা, মুচ্ছো যাওয়া কিশোরী-তরুণীদের ভিড়৷ বীটলস ম্যানিয়া থেকেই তো এই বিশেষ ধরণের ব্যারামের সূচনা৷ আজ কে একটা বছর সতেরোর পুঁচকে ছেলে এসে সেই সিংহাসনে বসবে?

পরে মনে হল: আমরা যারা খাঁটি বীটলস ফ্যান, তারা তো কোনোদিন ঐ চেঁচামেচির অঙ্গ ছিলাম না৷ জন লেনন, পল ম্যাককার্টনি, জর্জ হ্যরিসন, রিঙ্গো স্টার'কে আমরা পরে তাদের স্টুডিও এ্যালবামগুলো দিয়ে চিনেছি এবং মনে রেখেছি৷ বীটলসরা পপ গানের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছিল তাদের সঙ্গীতপ্রতিভা এবং তাদের সৃজনীশক্তি দিয়ে৷ পপ কালচারের সংজ্ঞা বদলানোটা এসেছে তার উপসর্গ হিসেবে৷ জাস্টিন বিবার লিভারপুলের কিশোরীদের হৃদয় জয় করেছে বটে, কিন্তু পেনি লেন কিংবা স্ট্রবেরি ফিল্ডস জয় করা থেকে সে এখনও অনেক দূরে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়