বুড়োদের রাজ্য
২১ মে ২০১৩তাহলে মাঝখানের ছেলে-মেয়েরা গেলো কোথায়? তারা আছে, কিন্তু মন রাজ্যে নয়, প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে৷ জীবিকার সন্ধানে তারা সেখানে গেছে৷ থাইল্যান্ডে বৈধভাবে থাকা মিয়ানমারের প্রায় ১৭ লক্ষ এবং নাম লিপিবদ্ধ নেই, এমন আরও প্রায় ১০ লক্ষ শ্রমিকের মধ্যে তারাও আছে৷
মিয়ানমারে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় ছিল সামরিক সরকার৷ সেসময় জাতিগত দাঙ্গা সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল দেশটি৷ আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে একরকম বিচ্ছিন্নই ছিল বলা যায়৷ তাই আর্থিক অবস্থাও ছিল বেশ করুণ৷
তাই মন তরুণেরা দলে দলে পাড়ি জমিয়েছে থাইল্যান্ডে৷ সেখান থেকে তারা দেশে বাবা-মাকে টাকা পাঠায়৷ আর বাবা-মার কাজ হচ্ছে ঐ টাকায় নিজেরা বাঁচা, আর নাতিপুতিদের দেখভাল করা৷
তবে মিয়ানমারে এখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে৷ ফলে বিদেশি কোম্পানিরা সেখানে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে৷ অর্থনীতির উন্নয়নে সরকারও পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ এগুলো বাস্তবায়নে মিয়ানমারেরই এখন দক্ষ লোকবল প্রয়োজন৷
তাইতো গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি থাইল্যান্ডে গিয়ে মিয়ানমারের শ্রমিকদের বলে এসেছেন, অচিরেই তাদের দেশে ফিরতে হবে বলে তিনি আশা করছেন৷
এখন মিয়ানমার সরকার যদি আসলেই তাদের দেশের অবস্থা এমন করতে পারে যে, প্রবাসীরা দেশে ফিরে যেতে উৎসাহী হবে, তাহলে হয়ত ভবিষ্যতে আর মন রাজ্যকে ‘বুড়োদের রাজ্য' বলার প্রয়োজন পড়বে না৷
জেডএইচ / ডিজি (এএফপি)