1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বুনোআগুন ছড়িয়ে পড়ে যেভাবে

১৩ আগস্ট ২০১০

চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে আগুন৷ কেউ বলে দাবানল, আবার কেউবা বলে বুনো আগুন৷ বেশ কিছু দিন আগে অস্ট্রেলিয়াতে এমন এক আগুনে এক এক করে প্রাণ হারিয়েছিল অন্তত দুই শতাধিক মানুষ৷ এবার আবার সে রকম অবস্থার সৃষ্টি হলো রাশিয়ায়৷

https://p.dw.com/p/Omjg
বুনো আগুনের কাছে হার মেনেছে মানুষছবি: picture alliance/dpa

অসাধারণ গরম এবং অনাবৃষ্টির ফলে এখন রাশিয়ায় দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে বলেই সেখানকার মানুষের ধারণা৷ সে দেশের রাজধানী মস্কোর আশেপাশের এলাকায় পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ৷ এ ছাড়া রস্তোভ প্রদেশেরও অবস্থা বেশ শোচনীয়৷

যেভাবে দাবানলের সৃষ্টি

কিন্তু কেন এ ধরণের দাবানলের সৃষ্টি হয়? আজ আপনাদের জানাবো সেই বিষয়টিই৷ উত্তপ্ত আবহাওয়ায় বনাঞ্চলসমৃদ্ধ যেকোনো স্থানেই দাবানল দেখা দিতে পারে৷ সাধারণত, যখন কোনো আগুনের উৎস প্রচন্ড তাপমাত্রায় এবং যথেষ্ট পরিমাণে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে দাহ্য পদার্থের সংস্পর্শে আসে, তখন দাবানলের সুত্রপাত ঘটে বলেই জানা যায়৷ গাছপালা থেকে থেকে ক্রমাগত পানি বাস্পীভূত হয়ে সৃষ্টি হয় পানির এই ঘাটতি৷ এই ঘাটতি পূরণ করা হয় মাটি বা বাতাসে বিদ্যমান জলীয় বাষ্প বা বৃষ্টির পানি শোষণ করে৷ কিন্তু অনেকদিন ধরে উত্তপ্ত ও শুষ্ক আবহাওয়া চলতে থাকলে গাছপালা পানির এই সমতা রক্ষা করতে না পেরে শুষ্ক ও দাহ্য হয়ে ওঠে৷ যেসব অঞ্চলের আবহাওয়া এতটাই আর্দ্র যে গাছপালা দ্রুত বৃদ্ধি পায়, আবার দীর্ঘ সময়ের জন্য শুষ্ক ও উষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ করে, সেসব অঞ্চলে দাবানল ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়৷

NO FLASH Russland Waldbrände Feuer
আগুন নেভানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টাছবি: picture-alliance/dpa

নিয়ন্ত্রিত দাবানল গ্রহণযোগ্য!

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা কিন্তু জানাচ্ছেন ভিন্ন কথা৷ তাদের মতে মোটামুটি চক্রাকারে দাবানলের পুনরাবৃত্তি ঘটে৷ প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে দাবানল বেশ গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ, দাবানলের মাধ্যমে লেগে যাওয়া আগুনের ধোঁয়া, পোড়া কাঠ ও উত্তাপ কোনো কোনো উদ্ভিদের অঙ্কুরোদ্গম ও বৃদ্ধির জন্য কাজে লাগে৷ তাই এসব অঞ্চলে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় দাবানল অনেকটাই গ্রহণযোগ্য৷

গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণে দাবানল

তীব্র ও ভয়াবহ দাবানল পরিবেশের ওপর বেশ কিছু ক্ষতিকর প্রভাব যে ফেলে এ নিয়ে কিন্তু কোন মতভেদ নেই কারও মধ্যেই৷ দাবানল পরিবেশে প্রচুর পরিমাণে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ছাড়াও বিভিন্ন দুষণ-পদার্থের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে, যা মানুষসহ সব প্রাণির জন্য বড় ধরণের হুমকি৷

Feuer Australien
দাবানল ছাপ রেখে যায় এভাবেইছবি: AP

প্রাকৃতিক কারণ, মানুষের সৃষ্ট কারণ

দাবদাহ, অনাবৃষ্টি, খরা, বজ্রপাত, আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত এবং এলনিনো ধরনের আবহাওয়ার চক্রাকার পরিবর্তনকে জঙ্গলে আগুন লাগার প্রাকৃতিক কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়৷ সংঘটিত দাবানলের দশটির মধ্যে আটটির পেছনেই মনুষ্যসৃষ্ট কোনো না কোনো কারণ কাজ করে বলে জানা যাচ্ছে৷ এসব কারণের মধ্যে সিগারেট বা ক্যাম্প ফায়ার, চাষাবাদযোগ্য জমি বৃদ্ধি বা নগরায়ণের লক্ষ্যে আগুন লাগানোর সময় দুর্ঘটনাবশত তা ছড়িয়ে পড়া প্রধান৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ