1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বুন্ডেসলিগার মরশুমের শেষটা জমাটি হবে

২৫ এপ্রিল ২০১০

তার কারণ বায়ার্ন মিউনিখ এবং শালকে এখন পয়েন্টের হিসেবে এক, কিন্তু বায়ার্ন গোলের ব্যবধানে এগিয়ে৷ আর দু’টি সপ্তাহান্ত৷ তার পরেই দেখা যাবে বায়ার্নের ‘ত্রিমুকুটের একটি’, না শালকের ৫২ বছর পরে প্রথম বুন্ডেসলিগা খেতাব৷

https://p.dw.com/p/N5sf
গতবার যখন ভোল্ফসবুর্গ চ্যাম্পিয়ন হয়, তখন তাদের কোচ ছিলেন ফেলিক্স মাগাথছবি: picture-alliance/ dpa

শালকে'র কোচ ফেলিক্স মাগাথ'কে এ'দেশে বলে ‘মাইস্টারমাখার' বা চ্যাম্পিয়ন তৈরীর ওস্তাদ৷ কোচ হিসেবে বায়ার্নকে এবং ভোল্ফসবুর্গকে বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছেন৷ ওদিকে শালকে এক হিসেবে জার্মান ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলির মধ্যে অন্যতম৷ রুর শিল্পাঞ্চলের ক্লাব, শ্রমিক-মজদুর, খেটে-খাওয়া মানুষদের ক্লাব বলে নাম চিরকাল৷ শালকের ফ্যানরাও আবার সবচেয়ে বিশ্বস্ত, গোঁড়া এবং মাতোয়ারা৷ নীল জার্সির জন্যে শালকের টীমকে ‘দি কোয়েনিগসব্লাউয়েন', বা রাজকীয় নীল দল বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে৷ মাগাথ ভোল্ফসবুর্গকে চ্যাম্পিয়ন বানানোর পর পরই হঠাৎ এই রাজকীয় নীলদের দায়িত্ব নিলেন কেন, অথবা নেবার সময়ে তাঁর কি লক্ষ্য ছিল, তা তিনি নিজেই জানেন৷

মাত্র এক সপ্তাহ আগে মাগাথ'কে প্রথম মুখ খুলে চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার কথা বলতে শোনা গেছে৷ শনিবারের খেলার আগেও তিনি মন্তব্য করেছেন যে, বায়ার্নও তো হোঁচট খেতে পারে৷ এবং বায়ার্ন মোয়েনশেনগ্লাডবাখে ঠিক সেই হোঁচটই খেল বটে: ১-১ গোলে ড্র করল, যার ফলে শালকে হের্থা বার্লিনের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জিতেই অন্তত পয়েন্টের হিসেবে বায়ার্নকে ধরে ফেলতে পারল৷ এই হল মাগাথের দূরদর্শিতা৷

অপরদিকে বায়ার্নের ওলন্দাজ কোচ লুই ফ্যান গাল ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমানের অকালে বিদায়ের পর উত্তর সাগরের এক ছানা তৈরীর ছোট্ট শহর থেকে এসে বায়ার্ন মিউনিখের ভার নেন৷ প্রথমে দল বিশেষ ভালো ফলাফলও করতে পারছিল না৷ ফলে ফ্যান গাল'কে গালমন্দ এবং ঠাট্টা-ইয়ার্কিও কম শুনতে হয়নি৷ কিন্তু ঐ একটি বছরের মধ্যেই পট এমনভাবে বদলেছে যে, বায়ার্ন আজ ত্রিমুকুট জয় করার পথে: চ্যাম্পিয়নস লীগ, বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়নশিপ এবং জার্মান কাপ৷ অর্থাৎ পেপ গুয়ার্দিওলা বার্সলোনা'কে নিয়ে যে ভেলকি দেখিয়েছেন, ঠিক সেই ভেলকিই এবার দেখাতে পারেন ফ্যান গাল৷ এর নাম পুরুষকার না ফুটবল, তা বলতে পারব না৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা