1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অজানা রহস্য জানাবে জুনো

৫ জুলাই ২০১৬

মহাকাশে আধিপত্য বিস্তারে আরও একধাপ এগিয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র৷ কারণ ইতিমধ্যে মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার পাঠানো মনুষ্যবিহীন নভোযান ‘জুনো' পরিভ্রমণ শুরু করেছে বৃহস্পতির কক্ষপথ৷ পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র পেরিয়ে আজ সে বহু দূরে৷

https://p.dw.com/p/1JJAl
মার্কিন নভোযান ‘জুনো’
ছবি: picture-alliance/dpa/Nasa/Jpl-Caltech/Handout

শব্দের ২০০ গুণ বেশি গতিতে প্রায় ২৭০ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মঙ্গলবার ভোরে (০৪:০০ জিএমটি/ইউটিসি) বৃহস্পতির কক্ষপথে ঢুকে পড়ে জুনো৷ গাঢ় কালো মহাকাশকে ভেদ করে এত দীর্ঘ একটা পথ পাড়ি দেয়া তো চাট্টিখানি কথা নয়, তাও আবার একেবারে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে৷ তার ওপর বৃহস্পতির চারপাশে তীব্র রাসায়নিক বিকিরণের বলয় রয়েছে, যার কাছাকাছি অরক্ষিত অবস্থায় গেলে যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷ তাই জুনোর যাত্রাপথ নিয়ে বেশ চিন্তাতেই ছিলেন তার প্রধান পরীক্ষক স্কট বল্টন৷ সান আন্টোনিয়োর ‘সাউথ-ওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট' থেকে সে কথাই জানিয়েছিলেন স্কট৷ বলেছেন, ‘‘আমি খুব ভয় পাচ্ছিলাম, নার্ভাসও লাগছিল৷ মনে হচ্ছিল, বৃহস্পতির কক্ষপথে ঢোকার আগেই যদি কোনো অঘটন ঘটে?''

না, সেরকম কিছুই ঘটেনি৷ বরং পরীক্ষা একবারে সফল৷ বিশেষভাবে নির্মিত জুনো কোনো সমস্যা ছাড়াই যে বৃহস্পতির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে! আর তাই তো আমাদের সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহের কক্ষপথে প্রবেশের পরপরই ক্যালিফোর্নিয়ার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গবেষকেরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন৷ আর নাসা'র ধারাবিবরণীতে বলা হয়, ‘বৃহস্পতিতে স্বাগতম'৷

পাঁচবছর আগে, সেই ২০১১ সালের ৮ আগস্ট ‘সৌরজগতের রাজা' বৃহস্পতির উদ্দশ্যে যাত্রা করেছিল জুনো৷ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে ১১০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে সে সময় তৈরি করা হয়েছিল এই মানববিহীন নভোযানটি৷ মূল উদ্দশ্য ছিল – জুনোকে বৃহস্পতির কক্ষপথে পাঠিয়ে গ্রহটির সম্পর্কে অজানা তথ্য সংগ্রহ করা৷

‘জুনো’ যেভাবে বৃহস্পতির কক্ষপথে ঢুকলো...

গবেষকরা জানিয়েছেন, এই মিশনে বৃহস্পতিকে ৩৭ বার প্রদক্ষিণ করার সুযোগ থাকবে জুনোর৷ আর তারপর, ২০১৮ সালে বৃহস্পতির বুকে আছড়ে পড়বে এটি৷ মিলিয়ে যাবে মহাবিশ্বের মহাকাশে৷

বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করার হিসেবে জুনো অবশ্য প্রথম নভোযান নয়৷ এর আগে ১৯৮৯ সালে পাঠানো গ্যালিলিও নভোযানটিও বৃহস্পতি সম্পর্কে অনেক তথ্য জানায়৷ বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপা, গ্যানিমিড ও ক্যালিস্টোর পৃষ্ঠে লোনা পানির অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছিল গ্যালিলিও৷ তবে জুনো আরও অনেক কাছ থেকে বৃহস্পতিকে জানার, বোঝার সুযোগ করে দেবে৷ বৃহস্পতি-পৃষ্ঠের ৩ হাজার ১০০ মাইল ওপর থেকে তথ্য পাঠাতে পারবে এই নভোযান৷ করবে রহস্যের সমাধান, দেবে নানা প্রশ্নের উত্তর

কতটা জল রয়েছে বৃহস্পতিতে? কতটা কঠিন পদার্থ? কেনই বা বৃহস্পতিকে সৌরজগতের আর পাঁচটা গ্রহের থেকে বেশি উজ্জ্বল মনে হয়?

স্কট বল্টনের ভাষায়, ‘‘আমরা বৃহস্পতি রহস্যের একেবারে তলানি পর্যন্ত যেতে চাই৷ জানতে চাই কীভাবে তৈরি হয়েছে এই গ্রহ, কী কী দিয়ে তৈরি হয়েছে৷''

ডিজি/এসিবি

ভিডিওটি দেখলেন? কেমন লাগলো জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান