1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেস্ট ইয়ং প্লেয়ার, গোল্ডেন বুট বিজয়ী থমাস ম্যুলার

১২ জুলাই ২০১০

২০ বছর বয়সী ম্যুলার আজ বিশ্বকাপের তারকা৷ জার্মান থার্ড ডিভিশন থেকে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে যেন রকেটে চড়ে তার এই ওপরে ওঠা৷ অথচ ভাবসাব একেবারেই ঠাণ্ডা, পেশাদারী৷

https://p.dw.com/p/OGZE
সস্ত্রীক ম্যুলারছবি: AP

মনে আছে তো? লম্বা, ঢ্যাঙা চেহারার ফরোয়ার্ড৷ বিশ্বকাপে জার্মানির প্রথম খেলাতেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে অবদান রাখে, অর্থাৎ গোল করে বসে৷ পরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জার্মানির ৪-১ জয়ে দুটি গোল করে এই ম্যুলার৷ আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার তিন মিনিট যেতে না যেতে জার্মানির হয়ে হালখাতা খোলে ম্যুলার: জার্মানি জেতে ৪-০ গোলে৷ শনিবারও জার্মানি যখন উরুগুয়েকে ৩-২ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করে, তা'তেও ম্যুলারের একটি, অর্থাৎ পঞ্চম গোলটি ছিল৷ কিন্তু এই পাঁচটি ছাড়াও তার ছিল তিনটি এ্যাসিস্ট৷ কাজেই উরুগুয়ের দিয়েগো ফোরলান এবং নেদারল্যান্ডসের ওয়েসলে স্নাইডার'কে হারিয়ে ম্যুলারই পেলো গোল্ডেন বুট৷

এবার এই বিশ বছরের তরুণটির সঙ্গে একটু ভালো করে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক৷ জন্ম ১৩ই সেপ্টেম্বর, ১৯৮৯, জার্মানির ভাইলহাইমে৷ দশ বছর বয়সে বায়ার্ন মিউনিখে যোগদান৷ তারপর বায়ার্ন এবং জার্মানির হয়ে কিশোর-তরুণ পর্যায়ে বহুদিন খেলেছে৷ ২০০৮ সালে মিরো ক্লোজে'র বিকল্প হয়ে ৭৯ মিনিটের মাথায় হামবুর্গের বিরুদ্ধে প্রথম ফার্স্ট ডিভিশন খেলায় নামা৷ কিন্তু ২০০৮-৯'এর সীজনে তাকে বেশী বার মাঠে নামতে দেখা যায়নি৷

Fußball WM 2010 Deutschland Argentinien Flash-Galerie
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গোলের পর ম্যুলারছবি: AP

ম্যুলার ২০০৯'এর শেষে তাঁর বান্ধবী লিজা'কে বিবাহ করেন৷

বায়ার্নে ম্যুলারের কপাল ফেরে ওলন্দাজ কোচ লুই ফ্যান খাল আসার পর৷ ফ্যান খাল তাকে ৩৪ বার নামান, ম্যুলার ১৩টি গোল করে সেই আস্থার প্রতিদান দেন৷ জার্মানির হয়ে ম্যুলারের প্রথম খেলা এ'বছরের তেসরা মার্চ, যেদিন জার্মানি হারে আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ গোলে৷

কাজেই ম্যুলার এখন নিজেই বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপের আগে যদি কেউ বলতো, তুমি পাঁচ গোল করবে - তাহলে আমি বলতুম, তোমরা সবাই পাগল নাকি?'' বিশ্বকাপের পরে কিন্তু ম্যুলার এখন হপ্তা দুয়েক ফুটবলের মুখ দেখতে চান না, স্রেফ আলসেমো করতে চান৷ তাঁর নাকি তা'তে ওজনও বাড়ে না৷ ওদিকে বিশ্বকাপে নিজের পার্ফর্মেন্স সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য: ‘‘মন্দ নয়, কিন্তু আমি আরো ভালো হব৷'' অপরদিকে উরুগুয়ের সঙ্গে খেলার পর ফোরলান কিংবা সুয়ারেজ, কারোর সঙ্গেই জার্সি বদল করতে রাজি হননি ম্যুলার৷ স্মৃতি হিসেবে তাঁর নিজের জার্সিটাই রাখতে চেয়েছেন৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম