1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে ককেসাসের জঙ্গি গোষ্ঠী

১ এপ্রিল ২০১০

রাশিয়ার রাজধানীর মেট্রো রেলে দুই নারী আত্মঘাতী বোমারুর জোড়া হামলার দায় স্বীকার করেছে এক জঙ্গি গোষ্ঠী৷ এদিকে বুধবার দক্ষিণের দাগেস্তানে নতুন বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে৷

https://p.dw.com/p/MjeS
মস্কোয় হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল ৩৯ জন (ফাইল ফটো)ছবি: AP

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট অবশ্য এত হামলার মাঝেও ককেশাসে কর্মকান্ড চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন৷

রাশিয়ার বিক্ষুব্ধ ককেশাস অঞ্চলের একটি ইসলামী গোষ্ঠী দেশটিতে সাম্প্রতিক জোড়া বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ সোমবার ঐ হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল ৩৯ জন৷ জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ককেশাসের আমীরশাহী'-র শীর্ষ নেতা ডকু উমারোভ এক ভিডিও বার্তায় এধরণের আরো হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে৷ তার কথায়, উত্তর ককেশাস এলাকায় রাশিয়ার নৃশংস দখলদারিত্ব ও সেখানকার শান্তিপ্রিয় মানুষদেরকে হত্যার প্রতিবাদে এই হামলা চালানো হয়েছে৷

এর আগে অবশ্য রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো উমারোভকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল যে এই হামলার সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীটির কোন সম্পর্ক নেই৷ কিন্তু ইন্টারনেটে প্রকাশিত নতুন এই ভিডিও বার্তা ঠিক উল্টো খবরটাই দিচ্ছে৷

এদিকে, বুধবার রাশিয়ার দাগেস্তানে অপর জোড়া বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ১২ জন৷ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ অবশ্য এত হামলা সত্ত্বেও ককেশাসে রাশিয়ার কার্যক্রম চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ককেশাসে সব কর্মসূচী আগের মতোই চলবে, সব বাধা সত্ত্বেও৷ কারণ, বহু সমস্যার সমাধানই ককেশাসের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে এবং তা নিয়েও চিন্তা করতে হবে৷ শুধু বল প্রয়োগ করলেই হবে না৷

তবে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুটিন দুই দিনের ব্যবধানে দূরবর্তী দুই জায়গায় হামলার মধ্যে সম্পর্ক থাকতে পারে বলে মনে করছেন৷ তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এই হামলাগুলো রাশিয়াকে নিশানা করেই করা হয়েছে৷

একইসঙ্গে পুটিন উত্তর ককেশাস অঞ্চলে পুলিশের উপস্থিতি বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রশিদ নুরগালিয়েভকে নির্দেশ দেন৷ রশিদ হামলাকারীদের ‘নিষ্ঠুর জবাব' দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন৷

অবশ্য চেচনিয়ার মানবাধিকার কর্মকর্তারা আগে থেকেই কোন ধরণের ধারণার বশে সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন৷ চেচেন সংসদের প্রেসিডেন্টও একই মত দিয়েছেন৷

প্রসঙ্গত, দাগেস্তান এবং উত্তর ককেশাসের বিস্তীর্ণ এলাকায় নিয়মিতই রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী এবং মুসলিম জঙ্গীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে থাকে৷ ২০০৯ সালে সেখানে সংঘর্ষে ১,০০০ এরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্রেমলিন সরকার সংশ্লিষ্ট এলাকায় ২৩ হাজার সেনা মোতায়েন রেখেছে৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী