1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বোরখা’ ইস্যুতে এবার নাগরিকত্ব নাকচ ফ্রান্সে

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০

স্ত্রীকে বোরাখা পরতে ‘বাধ্য করায়’ এক ব্যক্তির নাগরিকত্বের আবেদন নাকচ করেছে ফ্রান্স৷ বুধবার ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ফ্রঁসোয়া ফিয়ঁ বলেছেন, যারা ধর্মনিরপেক্ষ ফরাসি মূল্যবোধে বিশ্বাস করে না ‘‘ফ্রান্সে তাদের কোনো স্থান নেই’’

https://p.dw.com/p/Lroc
পুরো মুখ আবৃত করা বোরখাছবি: AP

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম এবং জাতীয়তা প্রকাশ না করলেও ফরাসি অভিবাসন মন্ত্রী এরিক বেসোঁ জানিয়েছেন, তার স্ত্রী একজন ফরাসী নাগরিক এবং স্ত্রীর সঙ্গে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য তার নাগরিকত্ব প্রয়োজন ছিল৷ গত সপ্তাহে দেশটির একটি সংসদীয় পরিষদ ‘পুরো মুখ আবৃত বোরখা' নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছে৷ একইসঙ্গে ওই প্রস্তাবে ‘‘উগ্রবাদী ধর্মীয় অনুশীলন'' এর প্রতীক বহনকারী ব্যক্তিকে আবাসিক অনুমতি এবং নাগরিকত্ব না দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়৷

এক বিবৃতিতে অভিবাসন মন্ত্রী জানান, ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ‘পুরো মুখ আবৃত করে পা থেকে মাথা পর্যন্ত' বোরখা পরতে বাধ্য করছেন, তদন্ত এবং সাক্ষাৎকারে এমনটা প্রমাণিত হওয়ার পর মঙ্গলবার তার নাগরিকত্ব আবেদন নাকচ করে একটি ডিক্রি জারি করেছেন তিনি৷ ওই ডিক্রি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে৷

প্রধানমন্ত্রী ফ্রঁসোয়া ফিয়ঁ বুধবার ‘ইউরোপ ওয়ান' রেডিওকে বলেছেন তিনি ওই ডিক্রিটিতে স্বাক্ষর করবেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা ফরাসি আইন৷ বহুকাল ধরে সিভিল কোডে এই বিধান রয়েছে যে যারা ফরাসি প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধকে সম্মান করে না তাদের নাগরিকত্ব নাকচ করা যাবে৷''

ফিয়ঁ আরও বলেন, ‘‘এই ঘটনাটা একজন ধর্মীয় উগ্রবাদী সম্পর্কিত: তিনি বোরখা চাপিয়ে দিচ্ছেন, তিনি নিজের বাড়িতেই নারী পুরুষকে আলাদা করে রাখছেন এবং নারীদের করমর্দন করা থেকেও বিরত রাখছেন৷''

ফরাসি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘এই লোকটি যদি তার মনোভাব পরিবর্তন না করে তাহলে এই দেশে তার কোনো স্থান নেই৷ আর যাই হোক, তিনি ফরাসি নাগরিকত্বের যোগ্য নন৷'' স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের আবাসস্থল ফ্রান্সে ১,৯০০ নারী ‘পুরো মুখ আবৃত করা বোরখা' পরে থাকেন৷

প্রতিবেদক : মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক