1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যাংককে সংঘর্ষ চলছেই, নিহত ২২

১৫ মে ২০১০

পর্যটকদের প্রিয় শহর ব্যাংকক৷ কিন্তু সেখানে এখন চলছে আন্দোলনকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্ঘর্ষ৷ কবে শেষ হবে বলতে পারছে না কেউ৷ শনিবারও সেখানে চলেছে গুলির পর গুলি৷ নিহত হয়েছেন আরও ছয়জন৷

https://p.dw.com/p/NOt7
বিক্ষোভ থামবে কবে?ছবি: AP

এদিকে প্রধানমন্ত্রী অপিসিৎ ভেজ্জাজিভা বলেছেন, সরকার অভিযান থেকে সরে আসবেনা৷

দ্বিতীয় দফা বিক্ষোভের শনিবার ছিল তৃতীয় দিন৷ থাই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি আর বিক্ষোভকারীদের হাতে তৈরি মলোটোভ ককটেল ও পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি চলেছে দিনভর৷ বেড়েছে মৃতের সংখ্যা৷ নতুন করে আরও ছয়জন নিহত হওয়ায় এই সংখ্যা এখন ২২ বলে জানিয়েছে ব্যাংককের একটি সরকারি হাসপাতাল৷ অর্থাৎ মার্চ মাসের মাঝামাঝি শুরু হওয়া লাল জামাধারীদের এ বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ৫০ জন৷

কিন্তু এরপরও বিক্ষোভ থামাতে রাজি নয় আন্দোলনকারীরা৷ তাঁদেরই এক নেতা কোয়ানচাই প্রাইপানা বলছেন, ‘‘আমাদের বিক্ষোভ চলবে৷ নিরাপত্তা কর্মীরা আমাদের খাবারের গাড়ি আটকে দিয়েছে৷ কিন্তু এখনো কয়েকদিন চলার মতো খাবার আমাদের রয়েছে৷'' তবে বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ভীত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে৷ সোমচাই সানওং নামের এক আন্দোলনকারী স্বীকারও করেছেন বিষয়টি৷ তিনি বলছেন যে, তাঁরা এখন বেশ ভয়ের মধ্যে আছেন৷ সবার মাঝেই মৃত্যুভয় ঢুকে গেছে৷

সংঘর্ষ যদি চলতেই থাকে তাহলে সেনাবাহিনী জোর করে আন্দোলন স্থলে ঢুকে পড়বে বলে হুমকি দিয়েছে৷ তবে হতাহত যেন কম হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে সেনা মুখপাত্র কর্ণেল স্যানসার্ন কাওকামনের্ড বলছেন৷ এদিকে শুক্রবারের সেনা অভিযানের পর বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা কমে এসেছে বলে তিনি দাবি করেন৷ তিনি বলছেন যে, শিশু ও বয়স্ক লোক সহ অনেকেই ভয়ে আন্দোলন স্থল ছেড়ে চলে গেছে৷

NO FLASH Bangkok Unruhen
বিক্ষোভকারীরা তাদের তৈরি ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়েছবি: AP

সরকারি মুখপাত্র পানিতান ওয়াত্তানায়াগর্ন বলেছেন যে, সরকার থাই নাগরিক ও বিদেশীদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘কয়েকটি বিশেষ গোষ্ঠি ব্যাংককের পরিস্থিতি খারাপ করার চেষ্টা করছে৷ তবে থাইল্যান্ড সহ সব বিদেশী নাগরিকদের আমি একটা বিষয় নিশ্চত করতে চাই যে, তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারি বাহিনী তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে৷''

এদিকে থাইল্যান্ডের একটি আদালত গ্রেপ্তারকৃত ২৭ বিক্ষোভকারীকে ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়েছে৷

ব্যাংককের পরিস্থিতি এখন এমনই যে বিদেশী দূতাবাসগুলো তাদের নাগরিকদের থাইল্যান্ড ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলছে৷ যেমন মার্কিন দূতাবাস প্রয়োজনীয় হোক আর অপ্রয়োজনীয়, কোনো কারণেই যেন মার্কিনীরা ব্যাংককে না যান, সে পরামর্শ দিতে যাচ্ছে৷

উল্লেখ্য, নতুন নির্বাচনের দাবিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রার সমর্থকরা প্রায় দুই মাস আগে এই আন্দোলন শুরু করেছিল৷ এর মধ্যে গতমাসে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের একবার সংঘর্ষ হয়৷ এতে ২৯ জন প্রাণ হারান৷ এরপর এ মাসের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী ভেজ্জাজিভা নভেম্বরের ১৪ তারিখে নতুন নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করেন৷ বিক্ষোভকারীরা তা মেনেও নেন৷ তবে বিক্ষোভ থেকে সরে আসার জন্য তাঁরা সরকারকে নতুন শর্ত দেন৷ আর তা হলো সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে জড়িত উপ-প্রধানমন্ত্রীর বিচার করতে হবে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী