1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যাংককে সেনা বিক্ষোভকারী তুমুল লড়াই- ২জন নিহত

১৯ মে ২০১০

সরকার বিরোধীরা ৩-রা এপ্রিল থেকে রাটচাপ্রাসং এলাকা দখল করে রেখেছে৷ পার্কের পূর্ব দিকে ওয়্যারলেস রোডে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে লড়াই করছে সেনাবাহিনীর আরেকটি দল৷ তারা চাচ্ছে পার্কের উত্তরে বাউন্ডারি সারাসিন রোডের নিয়ন্ত্রণ৷

https://p.dw.com/p/NRSE
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ ১৫-ই মে-র ছবিছবি: picture alliance/dpa

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে৷ প্রতিবাদকারী এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে চলছে তুমুল বন্দুক যুদ্ধ৷ বুধবার স্থানীয় সময় সকাল থেকেই ব্যাংককে অবস্থান নেয়া সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের দিকে সেনাবাহিনী অগ্রসর হতে শুরু করে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সএ-র খবরে ২ জন নিহত হবার কথা বলা হয়েছে৷ এই পর্যন্ত অন্তত পাঁচ জন আহত হবার খবর দিয়েছে এএফপি, ডিপিএ, বিবিসি সহ বিভিন্ন বার্তা সংস্থা৷

সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের কর্ডন করে রাখার সীমানা ছোট করে আনতে চেষ্টা করছে৷ দুটি সাঁজোয়া গাড়ি প্রতিবাদকারীদের ব্যারিকেড ভাঙ্গার জন্যে রওনা হয় সকালেই৷ বিক্ষোভকারীরা লুম্পিনি পার্কের চারপাশে রাবারের টায়ার এবং বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল৷ বুধবার সকালে সেনাবাহিনী কয়েক ঘন্টার মধ্যে সেই ব্যারিকেড ভেঙ্গে ফেলে পার্কটি দখল করে নেয়৷ সরকার বিরোধীরা ৩-রা এপ্রিল থেকে রাটচাপ্রাসং এলাকা দখল করে রেখেছে৷ পার্কের পূর্ব দিকে ওয়্যারলেস রোডে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে লড়াই করছে সেনাবাহিনীর আরেকটি দল৷ তারা চাচ্ছে পার্কের উত্তরাঞ্চলের বাউন্ডারি সারাসিন রোডের নিয়ন্ত্রণ নিতে৷ ঐ লড়াইয়ের সময়ই মিলি'তে চারজন প্রতিবাদকারী আহত হয় এবং প্রাণ হারায় দুইজন৷ প্রতিবাদকারীরা রাটচাডামারি রোডের টায়ারের ব্যারিকেডে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ এই সড়কটি দিয়েই মূল প্রতিবাদ এলাকায় ঢোকা যায়৷ সরকার বিরোধী নেতারা সেখান থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাবার জন্যে সমর্থকদের সাহস যোগাচ্ছেন৷

Unruhe und Gewalt in Thailand
লুম্পিনি পার্কে ১৪-ই মে সেনাবাহিনীর অভিযানছবি: AP

এদিকে মঙ্গলবার রাতে সরকার এবং প্রতিবাদকারীদের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে মধ্যস্থতা করার থাই সেনেটের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে৷ গত দুই মাসে সেনাবাহিনীর হাতে অনেক প্রতিবাদকারীদের প্রাণ হারানোর কারণে সেনেটের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে লাল জামা প্রতিবাদকারীরা৷ থাই প্রধানমন্ত্রী অপিসিৎ ভেজ্জাজিভা চাচ্ছেন, সরকার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগেই যুদ্ধবিরতি হোক৷

ওদিকে নির্বাসিত সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা বলেছেন, সরকার বিরোধী প্রতিবাদকারীদের ওপর সেনাবাহিনীর অভিযান দেখে, দেশে গেরিলা যুদ্ধ ছড়িয়ে পরতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন৷ তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এই সাক্ষাতকারে সিনাওয়াত্রা কোথায় অবস্থান করছেন তা জানাতে অস্বীকার করেন৷

প্রতিবেদক: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী