1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রকোলি এবং টমেটোর সত্ত্ব নিয়ে লড়াই

২২ জুলাই ২০১০

ব্রকোলি কিংবা টমেটোর মত সব্জির পেটেন্ট! অনেক কিছুর মতো এ দুটিরও পেটেন্টের দাবিদাররাও এখন মিউনিখে৷ সেখানেই ইউরোপীয় পেটেন্ট অফিসে চলছে আপিল সুরাহার প্রস্তুতি৷

https://p.dw.com/p/ORE5
Tomato, ব্রকোলি, টমেটো, পেটেন্ট, Patent
ছবি: AP

টকটকে লাল রঙের টমেটো কিংবা সবুজ মাথার ব্রকোলি৷ দুটিই খুবই পরিচিত সব্জি৷ মানুষের খাদ্য তালিকায় নিত্য থাকা এই দুটির পেটেন্ট কোন কৃষক বা কৃষিবিদের কাছে নেই, রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের হাতে৷ ধরা যাক ব্রকোলির কথা৷ ক্যান্সার নিরোধক উপাদান নিজেরা খুঁজে বের করেছেন, এই কারণ দেখিয়ে ব্রকোলির সত্ত্ব দাবি করে বসে ব্রিটিশ কোম্পানি ‘প্লান্ট বায়োসাইয়েন্স লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান৷ ২০০২ সালে ইউরোপীয় পেটেন্ট অফিস থেকে তাদের এ জন্য ছাড়পত্রও দেয়া হয়৷ কিন্তু সুইজারল্যান্ডের একটি কোম্পানি এই ছাড়পত্রের বিরোধিতা করে ঠুকে দেয় মামলা৷ তাদের ভাষ্য, বায়োলজ্যিক্যাল উপাদানের বিষয়ে কোন সত্ত্ব দাবি করা যায় না৷

চলুন এবার টমেটোর গল্প শোনা যাক৷ কম পানি খরচে বিশেষ এক টমেটোর জাত নিজেরা উদ্ভাবন করেছেন, এই দাবি রেখে ইসরায়েলের এক কোম্পানি ২০০০ সালে পেয়ে যায় ইউরোপীয় পেটেন্ট অফিসের ছাড়পত্র৷ আরেক কোম্পানি একই ধরণের কারণ দেখিয়ে এর চার বছর পরে, অর্থাৎ ২০০৪ সালে আর্জি জানায় এই সিদ্ধান্ত বাতিলের৷ ব্রকোলি এবং এবং টমেটোর সত্ত্ব নিয়ে এই আপিলগুলোর এখনো সুরাহা হয়নি৷ মিউনিখের ইউরোপীয় পেটেন্ট অফিসে এখন প্রস্তুতি চলছে আপিলের সুরাহা করার৷

বিষয়টি নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে৷ জার্মানির অধিকাংশ মানুষের দাবি, সব্জিকে রাখতে হবে পেটেন্ট কাঠামোর বাইরে৷ যে জিনিস মানুষের দৈনিক খাবারের তালিকায় থাকছে, হাজার হাজার কৃষক যে সব্জি উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করছে, সেগুলোর আবার সত্ত্ব কী? প্রশ্ন তাদের৷ তাদের মত, এ ধরণের সত্ত্ব প্রদান মানেই হলো কৃষক এবং ভোক্তাদের ক্ষতি করা৷ জার্মান টেলিভিশন চ্যানেল এআরডি'কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রিনপিস'এর পেটেন্ট উপদেষ্টা ক্রিস্ট্রিয়ান টেন'এর এ বিষয়ে মত, এ ধরণের পেটেন্ট দেয়া মানেই হলো বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করা, মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সীমিত করা এবং উচ্চমূল্যের অবস্থা সৃষ্টি করা৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন