‘ব্রাজিলে বাজে অভিজ্ঞতা’
৩০ এপ্রিল ২০১৪সিডনিতে অলিম্পিক ফোরামের এক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার কোটস প্রতিনিধিদের বলেন, ‘‘বেশ কিছু ভেন্যুতে নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছি আমি এবং তা দেখে মনে হয়েছে যে সঠিক সময়ে এগুলো শেষ হওয়া কখনই সম্ভব নয়৷ এছাড়া প্রতিটি ভেন্যুতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের বিষয়টি নিয়েও চিন্তিত আমরা৷''
এক বিবৃতিতে কোটস জানান, প্রস্তুতি কাজের জন্য আইওসি একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করতে চলেছে, যারা দ্রুত কাজ সম্পন্ন করবে৷ কিন্তু ব্রাজিলের ভেতরকার পরিস্থিতি সংকটজনক৷ তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রিও ডি জানেরোতেই হবে এবং এখনও তারা ‘প্ল্যান বি' হিসেবে বিকল্প কোনো ভেন্যুর কথা ভাবছেন না বলে জানান কোটস৷
কোটস বলেন, ‘‘ব্রাজিল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু বিষয়েই প্রস্তুত নয়৷ তাই আমাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে এবং এটাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি৷ কারণ এই পথ থেকে ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘কোনো ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজনে এর কম বাজে অভিজ্ঞতা এর আগে আর হয়নি আমার৷'' শুধু তাই নয়, ব্রাজিলের প্রস্তুতিকে এথেন্সের চেয়েও খারাপ বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ বলেন, রিও ডি জানেরোর সামাজিক ইস্যুগুলোর দিকেও দৃষ্টি দেয়া উচিত৷ ২০০৪ সালে এথেন্সে অলিম্পিক আয়োজনে নির্মাণ কাজ শেষ হতে বেশ দেরি হলেও, শেষ মুহূর্তে ঠিকই সব কাজ শেষ হয়েছিল৷
বলা বাহুল্য, দক্ষিণ অ্যামেরিকার কোনো দেশে এই প্রথম অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷ কিন্তু এরই মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, ব্রাজিল সরকার এবং আয়োজকদের মধ্যে মতবিরোধ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা৷ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ফেডারেশনে এ সব বিষয় নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷
ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে এমনিতেই কঠোর সমালোচনার মুখে রয়েছে ব্রাজিল৷ এক মাস পরে বিশ্বকাপ শুরু হবে অথচ এখনো বাকি বেশ কিছু স্টিডিয়ামের নির্মাণ কাজ৷ শ্রমিক অসন্তোষ, বেশ কয়েকটি অঞ্চলে অস্থিতিশীল অবস্থা, মাদক এবং অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় আয়োজকরা এমনিতেই শঙ্কিত৷ তাই এ অবস্থা ব্যাপক চিন্তায় ফেলেছে অলিম্পিক আয়োজক কমিটিকে৷
বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে ব্যর্থতার কারণে অলিম্পিক আয়োজনের জন্য ব্রাজিলকে গত মাসে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি বা আইওসি৷
এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)