ব্রিটিশদের সুখ পরিমাপে মাঠে নামছে প্রশাসন
২১ নভেম্বর ২০১০মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং অপরাধের পরিসংখ্যান নিরূপণে যারা সুপরিচিত, ব্রিটেনের সেই জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়কে সম্পূর্ণ অন্যরকম একটি জিনিসের পরিমাপ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ আর দায়িত্ব দিয়েছেন দেশের কর্ণধার৷ অর্থাৎ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন৷ তিনি কোন ধরনের গোপনীয়তার ধার না ধরেই জানতে চান তাঁর দেশের মানুষ সুখী কি না? ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সম্পদের চেয়ে ভালো থাকার ব্যাপারেই গুরুত্ব আরোপ করেছেন৷ আর সেই জন্যেই তিনি এই কার্যালয়ের সহায়তা চেয়েছেন৷
ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যক জিল ম্যাথেসন বলেন, ‘‘জাতীয়ভাবে ভালো থাকা এবং অগ্রগতি পরিমাপের জন্যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাড়ছে৷ শুধু জিডিপির দিকে দৃষ্টি দেওয়ার চেয়ে এই ক্ষেত্রে নজর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আন্তর্জাতিকভাবে বাড়ছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘অর্থনৈতিক মাত্রা পরিমাপের, ব্যাপ্তি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷ এবং জীবনযাপনের ধরন ও তার প্রভাবে সাধিত অগ্রগতিই জাতীয়ভাবে ভালো থাকার ইঙ্গিত দেয়৷''
এদিকে অর্থনীতিবিদ রস ওয়াকার বলেছেন, ‘‘সুখী হবার মাত্রা পরিমাপ? এই ধারণাটি গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু সুখ এমন কোন বস্তু নয়, যা মানুষ সরাসরি পরিমাপ করতে পারবে৷''
জাতীয় সুখের মানদণ্ড নিরূপণ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের প্রচারণার একটি অংশ ছিল৷ তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই পরিকল্পনা৷ ডাউনিং স্ট্রিটও জানিয়েছে, খুব শিগগিরি এই ব্যাপারে জাতীয় সমীক্ষা চালানো হবে৷ ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো বলছে, এই ব্যাপারে চলতি মাসের শেষের দিকে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হতে পারে৷
আসলে কোন বিষয়টি একজন মানুষকে সুখী করে? শুরুতেই বলেছি এ নিরূপণ করা এক কঠিন ব্যাপার৷ কেননা সুখের সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক রকম৷ তার কারণ হচ্ছে একেক জনের চাহিদা একেক রকম৷ যার খাবারের অভাব রয়েছে, তারজন্যে তিনবেলা খাবার নিশ্চিত করা গেলে, নিশ্চই তিনি কিছুটা সুখ বোধ করবেন৷ কিন্তু যিনি প্রাচুর্যের মধ্যে বসবাস করেন, অথচ মনে সুখ নেই, তাঁকে কীভাবে সুখী করবেন?
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই