1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটিশ উপ-অর্থমন্ত্রী ডেভিড লজের পদত্যাগ

৩০ মে ২০১০

অবশেষে পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ উপ-অর্থমন্ত্রী ডেভিড লজ৷ সংসদের খরচে অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হলো সাবেক ব্যাংকার এবং পুঁজিপতি লজকে৷

https://p.dw.com/p/Ncz2
ব্রিটিশ উপ-অর্থমন্ত্রী ডেভিড লজছবি: AP

মূলত দৈনিক টেলিগ্রাফ পত্রিকায় এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই লজকে সরিয়ে দিলেন তরুণ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন৷ লজের সিদ্ধান্তকে সম্মানজনক বলে উল্লেখ করেছেন ক্যামেরন৷ ইতিমধ্যে ক্যামেরন ঘোষণা দিয়েছেন যে, অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে তিনি কঠোর পদক্ষেপ নেবেন৷ বলা যায়, তাঁর এই ঘোষণার প্রথম বলি হলেন লজ৷ তবে ডেভিড লজের পদত্যাগ দেশটির নতুন জোট সরকারের প্রতি একটি ধাক্কা হলেও, তা বেশ দক্ষ হাতেই মোকাবিলা করলেন ক্যামেরন, এমন ধারণা বিশ্লেষকদের৷

ডেভিড লজ তাঁর পদত্যাগ সম্পর্কে এক সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘যখন আমার ব্যক্তিগত এবং সরকারি অর্থ সংক্রান্ত তথ্য উন্মোচনের বিষয়টির মোকাবিলা করতে হবে, আমি জানি না যে তখন কিভাবে আমি বাজেট এবং খরচ পর্যালোচনার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সঠিকভাবে করতে পারবো৷'' উল্লেখ্য, মাত্র দুই সপ্তাহ আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর ডেভিড লজের উপরেই দায়িত্ব পড়েছিল, যুক্তরাজ্যের রেকর্ড পরিমাণ বাজেট ঘাটতি কমাতে সরকারি খাতসমূহে খরচ কমানোর৷ কিন্তু এতো অল্প সময়েই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে করদাতাদের প্রায় ৪০ হাজার পাউন্ড আত্মসাতের৷ অন্তত দৈনিক টেলিগ্রাফ পত্রিকা সেরকমই বলছে৷

পত্রিকায় এই খবর প্রকাশের পর ৪৪ বছর বয়সি ডেভিড লজ শুক্রবার তাঁর অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চান৷ তিনি জানান যে, বাড়ি ভাড়ার জন্য তাঁর দীর্ঘ দিনের সঙ্গী জেমস লান্ডিকে এই অর্থ দিয়েছেন তিনি৷ লজ আরো বলেন, তাঁর যৌন জীবনের গোপনীয়তা রক্ষার বাসনা থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত৷ অবশ্য, সমুদয় অর্থ ফেরত দেওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি৷ তবুও শেষ রক্ষা হলো না লজের৷

উপ-প্রধানমন্ত্রী লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা নিক ক্লেগ শনিবার বলেন, ‘‘ডেভিড লজ আজ অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ এটা তাঁর একার সিদ্ধান্ত৷'' লজের এমন হঠাৎ চলে যাওয়াতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জর্জ ওসবোর্ন৷ লজের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন অন্যতম লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা সাবেক স্কটিশ মন্ত্রী ড্যানি আলেক্সান্ডার৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম